Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নাক ডাকার শব্দ'র কারণে বাড়ির মালিককে গলা কেটে হত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৫ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


নড়াইলের লোহাগড়ার সরোল-বাগডাঙ্গা গ্রামে বয়োবৃদ্ধা হাজেরা বেগম (৯০) হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। নাক ডাকার শব্দে বিরক্ত হয়ে খুন করা হয় তাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির কাজের ছেলে আল আমিন ভূঁইয়া (২৮) হাজেরাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। রাতে ঘুমন্ত হাজেরার নাক ডাকার শব্দে বিরক্ত হয়ে হাজেরাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আমিন। 

মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আটকের পর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে সেখানে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। আল আমিন নড়াইল সদরের পাইকমারি গ্রামের সাঈদ ভূঁইয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, বয়োবৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করেছিলাম, বৃদ্ধার নাতিরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু আল আমিনকে আটকের পর সে হাজেরাকে হত্যার স্বীকার করেছে।

আল আমিন আমাদের (পুলিশ) জানিয়েছে, বয়োবৃদ্ধা হাজেরার 'নাক ডাকা'র শব্দে অতিষ্ট হয়ে তাকে হত্যা করেছে। পরে ছুরি পুকুরে ফেলে দিয়েছে সে। আল আমিন হাজেরাদের বাড়িতে কাজ করতো এবং হাজেরার পাশের কক্ষে ঘুমাতো।

জানা যায়, শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে নড়াইলের লোহাগড়ার সরোল-বাগডাঙ্গা গ্রামে টিনের ঘর থেকে বৃদ্ধা হাজেরাকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত হাজেরা বাগডাঙ্গা গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী।

এলাকার সামাজিকতা ও বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে নিহত হাজেরার পরিবারের সঙ্গে পাশের গ্রামের নাতি আলিজানের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরে নাতিরা নানি হাজেরাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে এমন ধারণা ছিল পুলিশের। 

এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রকৃত হত্যাকারীকে চিহিৃত করতে তৎপর হন। ঘটনার তিনদিন পর প্রকৃত হত্যাকারীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আল আমিন নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এ নির্মম খুনের বর্ণনা দেয়।

Bootstrap Image Preview