Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

নোয়াখালীতে ধর্ষণ: রিমান্ডের আগেই সব খুলে বলল দুই ধর্ষক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৪ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ভোটের রাতে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামি সোহেল ও জসিম আদালতে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।  

বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের কাছে তারা এ জবানবন্দী দেয়। তাদের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। 

এর আগে এজাহারভুক্ত দুই আসামি আবুল হোসেন ও ছালা উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছিল। এ নিয়ে বর্তমানে চারজন অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিল।

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি আবুল আবুল খায়ের বলেন, রিমান্ডের তৃতীয় দিনে মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সোহেল ও জসিম নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় তারা।

এর আগে সোমবার (৭ জানুয়ারি) মামলার অপর দুই আসামি আবুল হোসেন ও ছালা উদ্দিন ১৬৪ ধারায় একই বিচারিক হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহ। এরই মধ্যে আবুল হোসেন ও ছালা উদ্দিন রিমান্ডের আগেই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়।

রিমান্ডে নেয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় তারা। মামলার অপর আসামি মুরাদের ৭ দিনের রিমান্ডের শুনানি হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। 

প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হওয়ার একপর্যায়ে তারা তাকে 'তোর কপালে শনি আছে' বলে হুমকি দেয়। পরে কেন্দ্র থেকে দ্রুত বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান গৃহবধূ।

এরপর রবিবার রাত ১২টার দিকে একই এলাকার ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে বসতঘর ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে এবং স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। 

শেষপর্যায়ে তারা তাকে গলা কেটে হত্যার করতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠান সংলগ্ন পুকুর ঘাটে ফেলে চলে যায়। 

Bootstrap Image Preview