নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর পরিবারের পুনর্বাসনে তার নামে খাস জমি বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার।
গতকাল সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে যান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। এসময় তিনি জেলা প্রশাসককে জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেন।
এ সময় তিনি ভিকটিমকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও আইনি সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনাকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দ্রুত অ্যাকশন নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী সব আসামি ধরা পড়বে এবং আইনানুগভাবেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয়টি কতটা রাজনৈতিক বা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তা খতিয়ে দেখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষিতার চিকিৎসা এবং তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভিকটিম নিজেই বলেছেন আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত কেউ ছাড় পাবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ড. মাহে আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুর রউফ ম-ল, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যা প্রমুখ।