ভাইয়ের ক্ষতির জন্য বাড়ির উঠানে 'মরণ ফাঁদ' তৈরী করার দৃষ্টান্তমূলক উদহারণ মিলেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুন্দাইল গ্রামের মৃত তাহের উদ্দিনের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৭৫) এর পরিবারে।
জানা যায়, বিধবা নারী জুলেখা স্বামী মারা যাবার পর এক ছেলে সন্তান (নজরুল ইসলাম) নিয়ে কোনমতে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু তারই দেবর মৃত আফছার উদ্দিনের পুত্র মো. হারিছ মিয়া একই সাথে পাশাপাশি (বাড়িতে) থাকতেন। গত কয়েক মাস পূর্বে হারিছ মিয়া অন্যত্র নতুন বাড়ি করে তার পুরাতন বাড়ির ভিটের মাটি নিয়ে যায়। তার পরেও হারিছ মিয়া তার পুত্র সজিব, ওয়াসিম ও সুজন মিয়া নজরুল ইসলামের সাথে জেদের বশীভুত হয়ে তাদের ভিটের সীমানাসহ প্রায় ১০/১২ ফুট গর্ত করে সেই মাটি নিয়ে যায়। এতে তৈরী হয় মরণ ফাঁদ।
সরজমিন দেখা যায়, গর্তের চারপাশের দামী বিভিন্ন প্রজাতির গাছের শিকড় কেটে ফেলায় বর্ষা এলেই যেকোন সময় ধ্বসে পড়বে গাছসহ বসত ঘর, বাড়ির উঠান ও একটি টিউবওয়েল। ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে নজরুলসহ আরো ২টি পরিবার।
প্রতিবেশী আলী উসমান বলেন, পরিবারের ছোট ছোট শিশুদেরকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে পরিবারের প্রধানগণ। যেকোন সময় এই বিশাল গর্তে পড়ে শিশু-কিশোরদের হাত-পা ভেঙে যাওয়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। জুলেখার পুত্র নজরুল মিয়া এমন কাজে বারবার বাধা দেয় এবং একাধিকবার সালিশ দরবারও করেও তা বন্ধ করা যায়নি।
এ বিষয়ে বিধবা জুলেখা বেগম বলেন, এ ধরনের কাজ কি মানুষ করে? আপনারাই বলুন, আমার ছোট ছোট নাতি আছে, বাড়ির উঠান ও বশতঘর ধ্বসে যাওয়ার অবস্থায়। কিছু কইলে আমাদের মারতে আসে, হুমকী দেয়। আমি এর বিচার চাই।
বিধবার ছেলে নজরুল মিয়া বলেন, তারা আমার কাছে উক্ত গর্তের ৩ শতাংশ জমির পরিবর্তে বাড়ির পাশের আমার ৮ শতাংশ জমি চেয়েছিল। আমি দেইনি বলে জিদের বশত আমার সীমানাসহ এই বিশাল গর্ত করেছে। হারিছ মিয়া তার আপন ভাই বাচ্চু মিয়াকে অত্যাচার করায় তারা ঢাকায় অবস্থান করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। সালিশে মেনে নিলেও পরক্ষনেই হারিছ মিয়া ও তার পরিবার পরিজন তা মানতে রাজি নয়।
অপরদিকে হারিছ মিয়া পুত্র সুজন বলেন, আমাদের মাটির প্রয়োজন থাকায় তাদেরকে বলেছি জায়গা বদলসহ টাকা পয়সাও দিবো বাড়ির আঙ্গিনায় জায়গাটুকু দেওয়ার জন্য কিন্তুু নজরুল মিয়া তা মানতে রাজি নয়।