একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিপরিষদ শপথ নিলো আজ। ২৮জন নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে এবার মন্ত্রিপরিষদে। ফলশ্রুতিতে আগের মন্ত্রিপরিষদের অনেক চেনা মুখই এবার বাদ পড়েছেন। বাদ পড়া সদস্যদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে আজকে ছিলো শেষ কর্মদিবস। বিদায়ী সদস্যরা যাওয়ার আগে নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হলো তা নিয়ে যেমন বলেছেন, তেমনি নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন।
আজ সোমবার তেমন কোনো কাজ হয়নি কোনো মন্ত্রণালয়েই। বিদায়ের আবহ ছিল সব জায়গাতে। মন্ত্রণালয়গুলোতে নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনা ছিল ।
বিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার নিজ কার্যালয়ে বলেছেন, নতুনদের জায়গা দিতে হয়। যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে তা ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদে না থাকলেও সংসদে আছেন। সুতরাং তিনি কাজেই আছেন। এ সময় তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিদায় অনুষ্ঠান হয় মন্ত্রণালয়ে। এ সময় তিনি গত দুই মেয়াদে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে ধরেন। নাহিদ বলেন, এখন শিক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গুণগত মান।
দুপুরে বিদায় অনুষ্ঠান করেন,নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, নতুন যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাঁরা ভালো করবেন।বিদায় অনুষ্ঠান করেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিদায়ী এই তিন মন্ত্রীর মধ্যে দুইজনই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যার যার নির্বাচনি এলাকা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ এবার তার আসনে নির্বাচন না করার কারণে সংসদে থাকছেন না। এখন থেকে তিনি দালীয় কাজ নিয়েই ব্যাস্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।