গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলেঅভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমপক্ষে ২০ জনের একদল যুবক পার্কের ভেতরে চটপটি হাউজের চেয়ার চেয়ের ও কফি শপে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সাফারি পার্কের কফি শপের কর্মী আমিনুল ইসলাম ও চটপটি হাউজের কর্মী জনি জানায়, স্থানীয় যুবক জুয়েল ও মাহফুজের নেতৃত্বে কমপক্ষে ২০ জনের একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূবর্ক পার্কের ভেতরে ঢুকে কফি শপে তালা লাগিয়ে চাবি নিয়ে যায়। পরে পার্ক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তিনি চাবি ফেরত পান। যুবকেরা পরে চটপটি হাউজে গিয়ে কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর ও চটপটি হাউজ ভবিষ্যতের জন্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
পরে চটপটি হাউজের কর্মী জনিকে মারধোর করে চলে যায়। কফি শপটি এস এম এন্টারপ্রাইজ ও স্থানীয় চটপটি হাউজটি শ্রীপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি কবির হোসেনের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
সাফারি পার্কের পার্কের গেটম্যান সোহেল রানা জানান, যুবকদের ছবি উঠানোর কারণে তারা তাকেও মারধোর করে। তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মোবাইল থেকে ছবি মুছে তা ফেরত দেয়।
সাফারি পার্কের ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা আঙ্গুর হোসেন জানান, যুবকেরা আকষ্মিকভাবে পার্কে ঢুকে কিছু ঘটনা ঘটিয়ে আবার আকস্মিকভাবে চলে যায়।
এ ব্যাপারে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় যুবকদের নিজেদের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে। তবে কেউ ভাঙচুর বা অন্য কোনো অভিযোগ করেনি। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, দুপুর তিনটা পর্যন্ত এমন কোনো ঘটনার খবর তিনি পাননি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও অপর প্রান্ত থেকে রিসিভ হয়নি।
তবে অপর অভিযুক্ত মাহফুজ জানায়, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এসব সাজানো অভিযোগ।