Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দখল হচ্ছে আন্ধারমানিক নদী, হারাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৯ PM
আপডেট: ০৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


স্থাপনা তুলে দখল করা হচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আন্ধারমানিক নদী। অভিযোগ রয়েছে, একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ফ্রি-স্টাইলে তোলা হচ্ছে নদী তীরের এসব স্থাপনা। এ নদীর দূষণও চলছে ফ্রি-স্টাইলে।

এছাড়াও বালু ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা। আবার নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অন্তত: ১০টি ইটভাঁটা। ফলে দখল দূষণে এক সময়ের খরস্রোতা আন্ধারমানিক এখন হারিয়ে ফেলছে স্বকীয়তা। পড়েছে অস্তিত্ব সঙ্কটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলাপাড়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় পশ্চিম পাশে স্থাপনা তুলে নদী দখলের পর এখন বর্ধিতকরণের মাধ্যমে নদী দখল করছে মনিরুজ্জামান পোল্ট্রি ফিডের মালিক মনিরুজ্জামন। একইভাবে পূর্বদিকে নদীর মধ্যে টিনের ছাপড়া দিয়ে নদী দখল করে পাকা স্থাপনা তুলছে জাকরি হোসেন (জাকারিয়া) নামে এক মুদি দোকানদার।

স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকাশ্যে এভাবে স্থাপনা তোলা হলেও সংশ্লিস্ট প্রশাসন রয়েছে নীরব। এভাবেই বহুতল পাকা-আধাপাকা ভবনসহ টিনশেড স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে। সবচেয়ে বেশি স্থাপনা তোলা হয়েছে আন্ধারমানিকের উত্তর পাড়ে।

কলাপাড়া পৌরশহর এলাকার নাচনাপাড়া ফেরিঘাট থেকে ফিশারি পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদী তীরসহ নদী দখল করে তোলা হয়েছে এসব স্থাপনা। দুই পাড়ে পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। এসব চর ভরাটের আগেই গোপনে অনেকেই চাষযোগ্য খাস কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়ে রেখেছে। কলাপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলছে আন্ধারমানিকের লঞ্চঘাট এলাকায়। ফলে দূষণের কবলে পড়ে বিপর্যয় নেমে আসছে আশেপাশের এলাকায়।

আন্ধারমানিক নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় ইতোমধ্যে অন্তত: সাতটি স্লুইচ সংযুক্ত খাল ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে কৃষিকাজে। ওইসব স্লুইচ সংযুক্ত নদীর সংযোগ খালটি বাইরে থেকে ভরাট হয়ে গেছে। ভাটার সময় পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে। ফলে নীলগঞ্জ, চাকামইয়া, তালতলীর চাউলাপাড়া, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় কুড়ি হাজার একর জমি চাষাবাদে ভয়াবহ সমস্যার শঙ্কা করছেন কৃষক। 

কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, নদী-খাল কিংবা সরকারের খাস জমি উদ্ধারে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। আন্ধারমানিক নদী রক্ষায় এসব দখলদারদেরও উচ্ছেদ করা হবে।  
 

Bootstrap Image Preview