Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাবণের ২৪টি বিমান ও বিমানবন্দরও ছিল: দাবি ভারতীয় উপাচার্যের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৩ PM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণের অন্যতম প্রধান চরিত্র ও খলনায়ক রাবণের ২৪টি বিমান এবং শ্রীলঙ্কায় বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরও ছিল। শুক্রবার পাঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০৬তম অধিবেশনে বিতর্কিত এই মন্তব্য করেছেন অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও।

তার দাবি, হাজার বছর আগেও ভারতে স্টেম সেল রিসার্চ ও টেস্ট টিউব বেবির প্রযুক্তি ছিল। রামায়ণ ও মহাভারতের উদাহরণ দিয়ে তার দাবি, গাইডেড মিসাইল প্রযুক্তিও নতুন কিছু নয়!

পাঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে বসেছে ২০১৯ সালের বিজ্ঞান কংগ্রেসের আসর। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অধিবেশন চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

শুক্রবার সায়েন্স কংগ্রেসে বক্তৃতা রাখার সময় অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও বলেন, স্টেম সেল রিসার্চ ও টেস্ট টিউব বেবি প্রযুক্তির জেরেই এক জন মায়ের থেকে একশ'জন কৌরব পেয়েছিলাম আমরা। যা ঘটেছিল আজ থেকে হাজার বছর আগে। ওটা ছিল এই দেশের বিজ্ঞান।

অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দাবি, মহাভারতে বলা আছে, ১০০টি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে মাটির পাত্রে রাখা হয়েছিল। এর পরই তার প্রশ্ন, ‘এগুলো কি টেস্ট টিউব বেবি নয়? আসলে হাজার হাজার বছর আগেই এ দেশে স্টেম সেল রিসার্চ চলত।’

শুধুমাত্র টেস্ট টিউব বেবিতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি নাগেশ্বর। রামচন্দ্রের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র থেকে টেনে এনেছেন গাইডেড মিসাইলের তত্ত্ব। তার মতে, আজকের গাইডেড মিসাইলের কার্যপদ্ধতি রামায়ণের যুগেও বর্তমান ছিল। রামচন্দ্রের ব্যবহৃত অস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনে ফিরে আসত।

নাগেশ্বর দাবি করেন, বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন আকার ও ক্ষমতার ২৪টি বিমান ছিল রাবণের। শ্রীলঙ্কায় রাবণের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরও ছিল বলে।

এর আগে ২০১৮ সালে বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি সরকারের মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন, বেদের তত্ত্বগুলো সম্ভবত আইনস্টাইনের বিখ্যাত ‘e=mc2’ সূত্রটির চেয়েও উন্নত। এর প্রমাণ তার কাছে আছে বলেও সে সময় দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিষয়ক এই মন্ত্রী। আনন্দবাজার।

Bootstrap Image Preview