Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্কুল ঘরই বিক্রি করে দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:০৭ PM
আপডেট: ০৪ জানুয়ারী ২০১৯, ০৫:০৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


শরীয়তপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিলাম ছাড়াই স্কুল ঘর ও স্কুলের গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার সুষ্ট তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৬৩নং বিনোদপুর ঢালী কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরাতন স্কুল ঘরটি ভেঙে স্কুল মাঠে জড়ো করে রাখা হয়েছিল। সাথে ৩টি গাছ কেটে ১৭ টুকরা করে রেখেছিল ঠিাকাদারের লোকজন। স্কুলটি ভোট কেন্দ্র হওয়ায় সংসদ নির্বাচনের আগে স্কুল মাঠটি পরিষ্কার করার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত হোসেনের নিকট পরামর্শ চান স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসার।

পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে গিয়ে গাছ ও স্কুল ঘরটি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকনের নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নগদ ৩১ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে গাছ ও স্কুল ঘরটি নিয়ে গেছেন। কোন ধরনের নিলাম ছাড়াই পুরাতন স্কুল ঘরটি বিক্রি করে তিনি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম কাওসার বলেন, আমি স্কুলে যোগদানের আগেই নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্কুল মাঠের কয়েকটি গাছ ও পুরাতন ভবনটি ভেঙে স্কুল মাঠে জড়ো করে রাখা ছিল। এ স্কুলটি ভোট কেন্দ্র হওয়ায় পালং থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শনে এসে মাঠ থেকে গাছ ও পুরাতন ভবনের জড়ো করে রাখা মালামাল নির্বাচনের আগেই দ্রুত সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি গাছ ও মালামাল বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকনের নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। স্যারের নিকট নগদ টাকা দিয়ে সভাপতি গাছ ও ভবনের মালামাল নিয়ে যান।

শিক্ষা অফিসার টাকা কি করেছেন তা জানা নেই। কোনো নিলাম হয়েছে কিনা তাও জানা নেই, যোগ করেন তিনি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিজ উদ্দিন আকন বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্কুলের পুরাতন ভবনের ভাঙাচুরা মালামাল ও ১৭ টুকরা গাছের ফালি আমার নিকট ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আমি প্রধান শিক্ষক এস এম কাওসারের সামনে নগদ টাকা দিয়ে আমার মালামাল বুঝে নিয়েছি। আইন কানুন আমি ভাল বুঝি না। স্যার যেভাবে বলেছে আমি নগদ টাকা দিয়ে মালামাল নিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নেয়ামত হোসেন বলেন, আমি ঘরের মালামাল বিক্রয় করেছি বিষয়টি সত্য নয়। আমি এগুলো সভাপতিকে সরিয়ে রাখতে বলেছি। পরে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।

শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিলাম ছাড়া যদি কেউ স্কুলের ভবন বা তার মালামল বিক্রি করে থাকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহবুর রহমান শেখ বলেন, বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। শিক্ষা কর্মকর্তা বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেউ এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview