Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

লন্ডনে প্রকাশিত হচ্ছে মোস্তফা কামালের ‘দ্য মাদার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১৯ PM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের ‘থ্রি নভেলস’-এর পর এবার ‘দ্য মাদার’ আন্তর্জাতিক সাহিত্য পরিমণ্ডলে স্থান পাচ্ছে। তাঁর সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘জননী’র ইংরেজি সংস্করণ ‘দ্য মাদার’ চলতি জানুয়ারি মাসেই প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স। প্রকাশের পর ‘দ্য মাদার’ উপন্যাসটি লন্ডন থেকে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর বই বাজারে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে আমাজন।

এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের বিদ্যমান যে বাজারব্যবস্থা রয়েছে তার মাধ্যমেও উপন্যাসটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুটি ফরম্যাটে ‘দ্য মাদার’ প্রকাশ করছে অলিম্পিয়া। পেপার ব্যাক ও ই-বুক। আমাজন দুই ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করবে উপন্যাসটি।

এর আগে ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে প্রকাশিত হয় মোস্তফা কামালের তিনটি উপন্যাসের ইংরেজি সংকলন ‘থ্রি নভেলস’। ‘তালিবান, পাক কান্ল অ্যান্ড ইয়াং লেডি’, ‘ফ্লেমিং ইভেন টাইড’ এবং ‘দ্য ফ্লাটারার’। ‘থ্রি নভেলস’ও বিশ্বজুড়ে বাজারজাত করেছে আমাজন। আর বাংলাদেশে বাজারজাত করার দায়িত্ব পালন করছে বৃহত্তর অনলাইন বুক শপ রকমারি ডটকম।

২০১৪ সালে পার্ল পাবলিকেশনস থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ‘জননী’। প্রকাশের পরপরই উপন্যাসটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। সম্প্রতি ‘জননী’র চতুর্থ মুদ্রণ বাজারে এসেছে বলে জানান প্রকাশক হাসান জায়েদী তুহিন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, “মোস্তফা কামালের ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস ‘অগ্নিকন্যা’, ‘অগ্নিপুরুষ’ ও ‘অগ্নিমানুষ’—এই ট্রিলজিও পাঠকের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ অর্থাৎ দেশভাগ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালের ওপর লেখা ট্রিলজি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পার্ল থেকে উপন্যাসগুলো প্রকাশ করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি।”

লেখক মোস্তফা কামাল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে একজন লেখকের বই প্রকাশিত হওয়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার চেয়েও বড় ব্যাপার। আমার প্রধান উপন্যাসগুলোর একটি ‘জননী’। এই উপন্যাস দিয়েই পাঠক আমাকে নতুন করে চিনেছেন, নতুনভাবে গ্রহণ করেছেন। এটি একটি দীর্ঘ উপন্যাস। প্রথমে আমি অলিম্পিয়াকে উপন্যাসটির কাহিনি সংক্ষেপ ও প্রথম তিন পার্ট পাঠাই। পরে তারা পুরো পাণ্ডুলিপি পাঠানোর জন্য আমাকে অনুরোধ জানায়। এরপর অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের সম্পাদকীয় বোর্ডের প্রধান সম্পাদক আমাকে চিঠি পাঠিয়ে উপন্যাসটি প্রকাশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। চিঠিতে উপন্যাসটি তাঁদের অনেক ভালো লেগেছে বলেও উল্লেখ করেন।”

উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন লেখক ও অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।

Bootstrap Image Preview