Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসিতে ঐক্যফ্রন্টের স্মারকলিপি, যা বললেন মির্জা ফখরুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের প্রতিনিধিদল।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সাত সদস্যর প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে যান।

ইসি থেকে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।

স্মারকলিপি দেয়া শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে। দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঐক্যফ্রন্টের জয়ীরা শপথ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

ঐক্যফ্রন্টের দাবি মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা পরে জানবেন। এটা তো প্রমাণই হলো ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, সেটাই সঠিক।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। অনতিবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছি।

পরে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি পড়ে শোনান মির্জা ফখরুল। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তার আওয়ামী লীগের কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে।

এর আগে দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে সারা দেশের ২৯৯ আসনের ধানের শীষের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘ভোট কারচুপি’, ‘কেন্দ্র দখল’, ‘ভোট ডাকাতির তথ্য ও অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ আকারে দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে। বিদেশি কূটনীতিকদেরও বিষয়গুলো জানানো হবে।

বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলা হবে যে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানাবে বিএনপি ও শরিকরা।

Bootstrap Image Preview