প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নতুন আইফোন এক্সএস ম্যাক্স কিনেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা। সম্প্রতি এই ব্যক্তির পকেটে রাখা নতুন আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ফোনে আগুন ধরে যায়। এ বিষয়ে অ্যাপল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নতুন ফোন দেয়ার কথা জানিয়ে দেয় মার্কিন এই কোম্পানি।
তবে নতুন ফোন না পেয়ে হতাশ হয়েছেন ওই ব্যক্তি। এবার আইনি পথে হাঁটার কথা ভাবছেন তিনি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনটি নতুন আইফোন এনেছিল অ্যাপল। এই প্রথম আইফোন এক্সএস, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ও আইফোন এক্সআরের কোন মডেলে আগুন ধরার ঘটনা সামনে এল।
আইড্রপনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জে হিলার্ড নামে এক ব্যক্তির আইফোনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ১২ ডিসেম্বর লাঞ্চ ব্রেকের সময় পকেটের মধ্যে ফোনে উষ্ণতা অনুভব করেন। দ্রুতই ত্বকে কিছু পোড়ার অনুভূতি হতে শুরু করে। পকেটে থাকা আইফোন এক্সএস ম্যাক্স থেকে সবুজ ও হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হতে শুরু করে।
পরে এক সহকর্মী অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হিলার্ডের প্যান্ট পুড়ে যায় এবং ত্বক জ্বালা করতে থাকে।
হিলার্ড বলেন, ‘পকেটের ফোনে আগুন ধরেছে বোঝার পর পকেট থেকে ফোন বের করে টেবিলে রাখার সময় আমি অনেকটা ধোঁয়া টেনে নিয়েছিলাম। পরে অফিসের সিকিউরিটি ক্যামেরায় সেই ভিডিও দেখা যায়।’
ওই দিন অফিস শেষে অ্যাপল স্টোরে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কথা জানান তিনি। অ্যাপল স্টোর থেকে জানানো হয়, পুড়ে যাওয়া আইফোন কুপার্টিনোতে কোম্পানির সদর দফতরে পাঠানো হবে। তদন্তের পরই তিনি নতুন আইফোন এক্সএস ম্যাক্স পাবেন বলে জানায় অ্যাপল স্টোর। কিন্তু অ্যাপল স্টোর তাকে প্যান্ট, জুতা ও ত্বকের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
শুধু নতুন আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ফেরত নিয়ে থেমে থাকতে চান না হিলার্ড। এ দুর্ঘটনার সঠিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি।