Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রেস্তোরাঁ চলে চোখের ইশারায়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৯ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


টোকিওর ডন ভের বিটা ক্যাফে। রোবটরাই এই রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করেন। তবে এছাড়াও অন্য একটি কারণে এটি এক্কেবারে আলাদা।

রোবটদের চালনা করছেন কারা জানেন? রোবটগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের 'হাতে'। বা বলা ভালো তাদের চোখের পাতার নড়াচড়ার উপর। ৪ ফুটের এই রোবটগুলোর নাম ওরিহাইম ডি। তাদেরই নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই ব্যক্তিরা।

অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা এ জাতীয় শিরদাঁড়ার সমস্যায় যারা শয্যাশায়ী, তারাই রোবটগুলোকে চালনা করেন। বেশিরভাগ রোগীই কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্ত।

ওই ব্যক্তিদের চোখের পাতার নড়াচড়ার সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ রয়েছে। ঠিক যে ভাবে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যোগাযোগ রাখতেন বাইরের জগতের সঙ্গে। এই অসুখকে জয় করেই নিরন্তর গবেষণা চালিয়েছেন বহু দিন।

রোবটগুলো নড়াচড়া করতে পারে, জিনিসপত্র তুলতে-রাখতে, খদ্দেরদের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তাও বলতে পারে।

যে মানুষগুলো অনেক সময়ই হতাশায় অবসাদগ্রস্ততায় ভোগেন, নিজেদের অক্ষম ভাবেন, তারা যাতে নিজেদের মূল্য বোঝেন, গুরুত্ব বোঝেন, তাই তাদের নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।

শরীর নড়াচড়া করতে না পারলেও যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তিরা, তাই এমন ভাবনা। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হলেও ২০২০ সালে এটি স্থায়ী ভাবে শুরু হবে, জানান ওরি ল্যাবের সিইও কেন্তারো ইউসিফুসি। এই রেস্তোরাঁর ভাবনাও তারই।

প্রতি ঘণ্টায় এই ব্যক্তিদের রোজগার ঘণ্টায় ৯ ডলারের সামান্য বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৩১ টাকা।

Bootstrap Image Preview