Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১১০ বছর পর আগামী জুন মাসেই ভয়ংকর উল্কাবৃষ্টি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:২১ PM
আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:২১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


ভয়ংকর শব্দে ঝলসে উঠে ধেয়ে আসা উল্কা পিণ্ড। আকাশজুড়ে প্রচণ্ড আলোর ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যায়! ১১০ বছর আগের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কি ঘটতে যাচ্ছে আবার? আমেরিকার লস অ্যালামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির পদার্থবিজ্ঞানী মার্ক বসলাফ ও অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পদার্থবিদ পিটার ব্রাউনের মতে, ২-১৯ সালের জুন মাসেই এমন ভয়ংকর উল্কাবৃষ্টি দেখবে পৃথিবীবাসী।

ওই সময় একটি দৈত্যাকার অ্যাস্টারয়েড বা গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়বে। তার পর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে তা ফাটবে ভয়ঙ্কর শব্দে। গবেষণাপত্রটি এই মাসে ওয়াশিংটনে আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুনে যে উল্কাবৃষ্টি হবে, তাতে তুঙ্গুস্কার ঘটনার মতোই কোনো দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু থাকবে নাকি তার আকার হবে তার চেয়েও বেশি, তা নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাবনিকাশ এখনও চলছে।

ঠিক এমনটাই হয়েছিল আজ থেকে ১১০ বছর আগে। ১৯০৮ সালের ৩০ জুন। ওই দিন সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস্কার আকাশে আচমকাই একটি দৈত্যাকার মহাজাগতিক বস্তু ফেটেছিল ভয়ঙ্কর শব্দে। যার ঝলকানিতে পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তুঙ্গুস্কা। ওই এলাকার আশপাশের ৮০০ বর্গ মাইল এলাকার সব গাছপালা ঝলসে গিয়েচিল। থরথর করে কেঁপে উঠেছিল একটি বিশাল এলাকা। জনবসতিহীন এলাকায় ওই ঘটনায় অবশ্য কোনো প্রাণহানি হয়নি। জখমও হননি কেউ। তবে ওই বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি, সেদিন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কোনো ধূমকেতু নাকি কোনো গ্রহাণু এসে ঢুকে পড়েছিল; যার ফলে ঘটেছিল ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। কেউ কেউ বলেছিলেন, আসলে সেটা ছিল খুব বড় ধরনের উল্কাবৃষ্টির ঘটনা। যার নাম 'বিটা টরিড'। 'টরিড' উল্কাবৃষ্টি সাধারণত বছরে দুই বার হয়। জুনের শেষে আর অক্টোবরের শেষাশেষি বা নভেম্বরের শুরুর দিকে। এদের মধ্যে যেটি জুনের শেষে হয়, তাকে বলা হয় 'বিটা টরিড'। এটা রাতে হয় না; হয় দিনের আলোয়। যখন সূর্যের আলোয় অন্য নক্ষত্রদের আলো ঢাকা পড়ে যায়।

গবেষকদের ধারণা, আগামী জুনের উল্কাবৃষ্টির মধ্যে যতটা বড় চেহারার মহাজাগতিক বস্তু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, ১৯৭৫ সালের পর তত বড় চেহারার কোনো মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েনি। ’৭৫-এর সেই ঘটনার ফলে ভূকম্পন হয়েছিল, তা চাঁদে বসানো সাইসমোমিটারে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছিলেন ‘অ্যাপোলো’ মহাকাশযানের অভিযাত্রীরা।

Bootstrap Image Preview