পৃথিবীকে পাপ-তাপ থেকে মুক্ত করতে ও অন্ধকারে আলোর উদ্ভাস ঘটাতে জন্মগ্রহণ করেন যিশু। ৩৫৪ খ্রিষ্টাব্দের রোমান ক্রমপঞ্জিতে ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন উল্লেখ করে এ দিনটিকে যিশুর জন্মদিবস বা বড়দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৪৪০ সালে পোপ একে স্বীকৃতি দেন।
সেই থেকে প্রতি বছরের ২৫ ডিসেম্বরকে সম্মান জানিয়ে বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকে পৃথিবীব্যাপী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। এটি তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বিভিন্ন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা দিবসটি উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলার চার্চগুলোতে র্যালি, কেক কাটা, আলোচনা সভা ও ধর্মীয় গান গেয়ে দিনটা পালন করা হয়।
পাষ্টার স্বপন সরকার জানান, আমরা বিশ্বর ন্যায় বড়দিন পালন করি। এটা আমাদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসাবে মানি। এই অনুষ্ঠান খ্রিষ্ঠান সম্প্রদায়ের লোকেরে যর্থাযোগ্য মর্যদায় পালন করেছি। যেমন আমি আমার বাড়িতে কেকে কেটেছি ও আলোচনা সভা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বেথেলহেমের গরিব কাঠুরের গোয়াল ঘরে ২৫ ডিসেম্বর জন্ম নেন যিশুখ্রিষ্ট। এই জন্মতিথি উপলক্ষ্য করে প্রতিবছর আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেন খ্রিষ্টিয় ধর্মমতের অনুসারীরা। দিনটি উপলক্ষে গির্জা ছাড়াও খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাড়ি চলে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া শিশুদের জন্যও থাকে বড়দিনের আয়োজন। সেখানে শিশুদের খেলাধুলার জন্য রাখা হয় নানা আয়োজন। চারিদিকে বেলুন এবং ফুল ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়। আর সব মিলিয়ে আনন্দমুখরভাবে উদযাপিত হয় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।