Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

খুন করে স্ত্রীকে ৭ মাস বাঁচিয়ে রাখলেন চিকিৎসক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১২ PM
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১২ PM

bdmorning Image Preview


বিচ্ছেদ হলেও আগের স্ত্রীর যোগাযোগ ছিল পেশায় চিকিৎসক ধর্মেন্দ্রপ্রতাপ সিংহের। বিভিন্ন সময় তারা মেলামেশাও করতেন। সেই যোগাযোগেই শেষ প্রাণ গেল প্রাক্তন স্ত্রীর। ঘাতক আর কেউ নয়, সেই চিকিৎসকও। সন্দেহ এড়াতে বেশ কৌশলী পথও বেছে নিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৭ মাস মৃত নারীকে সকলের কাছে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রতাপ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত নারীর নাম রাখী শ্রীবাস্তব ওরফে রাজলক্ষ্মী। ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের। ২০০৬ সালে বিবাহিত শল্য চিকিৎসক ধর্মেন্দ্র প্রতাপের সঙ্গে আলাপ তাঁর। অল্পদিনের মধ্যে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। শাহপুরে তাঁকে একটি ফ্ল্যাটও কিনে দেন ধর্মেন্দ্র। গোপনে ২০১১ সালে বিয়ে করেন দু’জনে। কিন্তু সবকিছু জানতে পেরে যান ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রী ঊষা সিংহ। স্বামীকে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মণীশ সিংহ নামে আর এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন রাখী। তবে দ্বিতীয় বিয়ের পরও ধর্মেন্দ্র'র সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শাহপুরের ফ্ল্যাটটি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য ধর্মেন্দ্র'র উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন তিনি। 

এরই মধ্যেই ২০১৮ এর জুন মাসে স্বামী মণীশের সঙ্গে নেপাল বেড়াতে যান রাখী। জানতে পারেন বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে আসছেন ধর্মেন্দ্রও। তাই তড়িঘড়ি স্বামীকে ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি। নিজে থেকে যান পোখরায়।

দেখা করতে গিয়ে পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে খাইয়ে দেন ধর্মেন্দ্র ও তাঁর সঙ্গীরা। তারপর পাহাড়ের উপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। রাখীকে খুন করে তিনজনই দেশে ফিরে আসেন। এক সহচরের মাধ্যমে রাখীর ফোনটিকে আসামে পাঠিয়ে দেন ধর্মেন্দ্র। যার মাধ্যমে রাখীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালু রাখেন তিনি। নিয়মিত আপডেটও দিতে থাকেন, যাতে মনে হয় আসামে রয়েছেন রাখী।

কিন্তু মেয়ের হদিশ না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রাখীর পরিবারের লোকজন। প্রথমে দ্বিতীয় স্বামী মণীশের উপরই সন্দেহ ছিল পুলিশের। তাঁর ফোনের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী বাহিনী সিট তদন্তের ভার নিলে দেখা যায়, ওই সময় নেপালে ছিলেন ধর্মেন্দ্রও। তাতেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়।

তদন্তকারীদের একটি দল নেপালের পোখরায় গেলে রাখীর দেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করে সেখানকার পুলিশ। পরে সেটি রাখীর দেহ বলে শনাক্ত করা যায়। তারপরই ধর্মেন্দ্র প্রতাপকে আটক করা হয়। লাগাতার জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন তিনি। টাকা ও সম্পত্তির জন্য হুমকি পাচ্ছিলেন বলেই প্রাক্তন স্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন ধর্মেন্দ্র। 

Bootstrap Image Preview