রংপুরে গৃহপরিচারিকাকে হত্যার পর গোপনে লাশ দাফনের অভিযোগে রংপুর মহানগর বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি কাওছার জামান বাবলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবলা ছাড়াও আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মাহিগঞ্জ ও মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি রেজাউল করিম নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহপরিচারিকা সুমি আক্তার (১৪) নগরীর নব্দীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। সুমি বিএনপি নেতা বাবলার বোনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকা ছিল।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলার বোন লাবনী আক্তার তার স্বামীসহ নগরীর মুন্সিপাড়ায় বসবাস করেন। সুমি ওই বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে সুমি আক্তারের লাশ পাওয়া যায়। তিন দিন লাশ গোপন করে রেখে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুমির পরিবারের লোকজনকে ম্যানেজ করেন তারা। এরপর সোমবার নগরীর মাহিগঞ্জ আলুটারি এলাকায় সুমির লাশ দাফন করা হয়। আর এসব ঘটনায় বাবলার মধ্যস্থতা করার অভিযোগ উঠে।
পরে সুমির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে বাবলা, তার বোন লাবনী ও বোনের স্বামীসহ আম্বিয়া খাতুন নামে অপর এক গৃহপরিচারিকাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারকৃত বাবলা এর আগে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হিসেবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন করে পরাজিত হন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির সদর আসনে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু আসনটি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে ছেড়ে দেয়ায় তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।