গত ৫ দিন ধরে এখনও ওই শ্রমিকদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা বেঁচে আছেন কি-না, তাও বলতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। তবে কয়লা মেশানো জল এতটাই কালো, তাই প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে আবারও খনিতে জল ঢুকছে। স্থানীয় মানুষরা বলছেন, এইধরনের খনিগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাই অন্য খাদানগুলো থেকে এই খাদানে সম্ভবত জল ঢুকে যাচ্ছে।
সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থা কোল ইন্ডিয়া-র বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন যে, ১'শ হর্স পাওয়ারের পাম্প যদি বসানো যায়, যা দিয়ে মিনিটে ৪'শ গ্যালন করে জল তোলা যাবে, তাহলে খনি গহ্বর থেকে দ্রুত জল বার করে ফেলা সম্ভব হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার কসন গ্রামে জঙ্গলের ভেতরে একটি বেআইনি কয়লা খাদানে (এই খাদানগুলোকে 'র্যাট হোল মাইনিং' বলা হয়) নেমেছিলেন ওই শ্রমিকরা। পাশ দিয়েই বইছে লিটিয়েন নদী। প্রথম দিন নেমেই ওই শ্রমিকরা সেখানে আটকে পড়ে।
তার কয়েকদিন আগে কৃপ চুলেট নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি খাদানটি ভাড়া নিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পূর্ব জয়ন্তিয়া জেলার পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট সিলভেস্টার নঙ্থনার বলছেন, বেআইনিভাবে চলা এই খাদানটির ২৫০ ফুট নিচ থেকে জলে ভর্তি হয়ে গেছে। জলস্তর রয়েছে আরও প্রায় ৭০ মিটার।
তিনি বলেন, ১৩ তারিখ রাতে এই ঘটনার পরদিন সকাল থেকেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ, দমকলসহ ১০০ বেশি উদ্ধারকারী কাজ করে চলেছেন। কিন্তু আমরা এখনও আটকে পড়া শ্রমিকদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাইনি।
প্রায় ৩২০ ফুট জলের তলায় কোথায় শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন। সেটা জানার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এন ডি আর এফের ডুবুরীরা নেমেছিলেন খাদানে। জলের তলায় তল্লাশি চালানোর জন্য 'সোনার' যন্ত্রও ছিল। তবে যন্ত্র দিয়েও আমরা খুঁজে বের করতে পারিনি শ্রমিকদের অবস্থান। চেষ্টা করা হচ্ছে খনি গহ্বর থেকে জল পাম্প করে তুলে ফেলার। অনেকগুলো পাম্প চালানো হচ্ছে।