Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আস্থা ভোটের মুখোমুখি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:০৬ PM
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:০৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। দেশটির রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যরা বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে হাউস অব কমন্সে ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন।

নেতৃত্ব নিয়ে প্রয়োজনীয় ৪৮টি চিঠি আসার পর থেরেসা মে এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেন। ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটি হওয়ার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন থেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় নিজ দলের ভেতরেও সমালোচনায় পড়েন তিনি। 

বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি জারি করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে হাউস অব কমন্সের গোপন ব্যালটের ভোটাভুটির ফল কত দ্রুত প্রকাশ করা হবে সেব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কিন্তু দলীয় প্রধানের পদে থাকার জন্য ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে থেরেসাকে।

কিন্তু ভোটাভুটিতে হেরে গেলে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হতে পারে তাকে। এমনকি ভোটে যদি থেরেসা মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন, তাহলে আগামী এক বছরের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

এছাড়া থেরেসা মে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও যদি দলের সব সংসদ সদস্যের সর্বাত্মক সমর্থন না পান; তাহলেও দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে তাকে। কারণ হাউস অব কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলটির যিনি প্রধান নির্বাচিত হবেন; তিনিই দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন।

অন্যদিকে, থেরেসা মে যদি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলেন; তাহলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানই ক্ষমতাবলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। আর এই প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ হতে প্রায় ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

দলে যদি একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলে প্রথমে কয়েক দফার ভোটাভুটিতে দু'জনকে নির্বাচিত করা হবে। এরপর এই দু'জনের মধ্যে থেকে একজনকে দলীয় প্রধান করা হবে; আর তিনিই হবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

Bootstrap Image Preview