একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা বাতিলের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, বেঞ্চের প্রিজাইডিং জজ খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন নিয়ম অনুসারে আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য অন্য বিচারপতির কাছে পাঠাবেন।
তিনটি আসনে খালেদা মনোনয়নপত্র বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে এখনো আশাবাদী দলের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল বিএনপি। তবে গত ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সময় তা বাতিল করে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ইসিতে আপিল করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
পরে ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ (মঙ্গলবার) এ রায় এলো। খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ হওয়ায় প্রধান বিচারপতি এখন তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।