Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:০৩ PM
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:০৩ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


‘প্রাণিজ সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জন্য ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। 

বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শনিবার বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর ওয়াশিংটনে পরিচালক পর্ষদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনের মান ও পরিমাণ বাড়বে। প্রায় ২০ লাখ ছোট ও মাঝারি আকারের খামারি ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাজার সুবিধা বাড়াবে প্রকল্পটি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিম, মাংস ও দুধের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ হবে। ফলে নাগরিকদের পুষ্টি গ্রহণ পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, প্রাণিজ সম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে।

এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে মানসম্মত কর্মসৃজনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নারী, তরুণও অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন।

বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদ খাতে মোট শ্রমশক্তির ১৪ শতাংশ নিয়োজিত আছে। তবে পল্লী অঞ্চলের ৭০ শতাংশের বেশি পরিবারে পশুপালন করে থাকে। বর্তমাণে কৃষি খাতের ৬৮ শতাংশ শ্রমিক নারী। তারা মূলত প্রাণিজ সম্পদ ও পোল্ট্রি উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট আছেন। প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকের টিম লিডার ম্যানিভেল সেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রাণিজ সম্পদ উন্নয়নে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পল্লীর প্রাণিজ সম্পদ চুরি হয়ে যাওয়া, রোগের কারণে প্রাণহানি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এসব ঝুঁকি কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, গবাদিপশু, ডিম, মাংস ও পোল্ট্রি মংসের জোগান ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এর ফলে প্রতি বছর এ সব খাদ্যের ঘাটতি বাড়ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দেড়শ’ কোটি ডিম, ৫ লাখ টন মাংস ও ৫৯ লাখ টন দুধের ঘাটতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর ২৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডেইরি পণ্য আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতির কারণে শিশু, গর্ভবতী নারী ও দরিদ্র লোকজন পুষ্টিহীনতার ঝুঁকিতে আছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ২০ লাখ মানুষের খাদ্যের ঘাটতি পূরণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview