Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘এদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়, কিন্তু ভিকারুননিসার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করা দুষ্কর’

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৩২ PM
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:২১ AM

bdmorning Image Preview


ভর্তি বাণিজ্য, নানা অজুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায়, অভিভাবকদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণসহ নানা অনিয়মে এবার আলোচনায় স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ। অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতির একক কর্তৃত্বের কারণে স্বেচ্ছাচারী প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে স্কুলটি।

শুক্রবার প্রতিবাদ মুখর ছিল অভিভাবকরা। তারা বলেন, একটি ছাত্রীকে টিসি দিয়ে বের করে দিলে, আরেকটি ছাত্রী ভর্তি করা যাবে। তাহলে নগদে ১০ লাখ টাকা আয় হয়ে যাবে। প্রতিটি শিক্ষকের মাথায় এটি ঘোরে। প্রতিটি সেশনে ৭০ জন থাকার কথা। সেখানে ১০০-১১০ জন ভর্তি হচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব? এটা ভর্তি বাণিজ্য হয়েছে তা না হলে কিভাবে হলো। এদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু ভিকারুননেসা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করা দুষ্কর।

অভিভাবকরা বলেন, আমাদের আশা, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। আসামিরা যাতে আদালতে হাজির হোন। আর ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মধ্যকার দূরত্ব যাতে দূর হয়।

শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে নেই সেই উচ্ছ্বাস। অনেকটাই ম্লান চারদিক। সহপাঠীরা বলেন, আমরা আজ তাকে (অরিত্রী) ছাড়া পরীক্ষা দিচ্ছি, খারাপ তো লাগবেই। আমরা আশা রাখছি আমাদের দাবি সম্পূর্ণ মেনে নিবে।

এদিকে, খোদ গভর্নিংবডির সদস্যরাই অভিযোগ তুলছেন বর্তমান কমিটি নিয়ে। তবে এই টালমাটাল পরিস্থিতি কাটিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি পুরনো রূপে ফিরবে বলেই প্রত্যাশা তাদের।

গত সোমবার নিজের একটি ভুলের কারণে শিক্ষকের কাছে বাবা-মায়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী। পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যক্ষসহ অভিযুক্ত ৩ শিক্ষককে।

Bootstrap Image Preview