সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলার বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাযা সম্পন্ন হয়।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিনকে শেষ বিদায় জানাতে দুপুরেই তার টেংরাটিলাস্থ বসতবাড়ি এবং টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকা ও এলাকার বাহির থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, সহকর্মী, সুধীজন, আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা জড়ো হতে থাকে। পরে বিকাল তিনটায় জানাজা শেষে টেংরাটিলায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৮টা ৩০ মিনিটে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন (৬২)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার সন্তানদের সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত একাধিক রোগে ভোগছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজিম উদ্দিন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ পুনর্গঠনেও তিনি অংশ নেন। এলাকার আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মী উন্নয়নে তিনি প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আজিম উদ্দিন তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে দীর্ঘদিন যাবৎ টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা কাম অফিস সহকারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি আমৃত্যু বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে এলাকাব্যাপী শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সুনামগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ মাস্টার, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক, আব্দুল হালিম বীর প্রতীক, আব্দুল মজিদ বীর প্রতীক, বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার, দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফরিদ আহমদ তারেক, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদসহ মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।