৬ ডিসেম্বর দেবহাটা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, দেবহাটা সার্কেলের এএসপি শেখ ইয়াসিন আলী, নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি।
অন্যান্যদের মধ্যে জেলা যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা সমিতির সভাপতি আব্দুল মাবুদ গাজী, জেলা ডেপুটি কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, যুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান আশরাফ আলি, সাবেক কমান্ডার সুভাস চন্দ্র ঘোষ, জামসেদ আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ইয়াসিন আলী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা সদর চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছাদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু, সকল দফতরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালের এই দিনে দেবহাটার মাটিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে সম্পূর্ণ পাক হানাদার মুক্তি পায়। ঐতিহাসিক এই দিনটি উপলক্ষে দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আয়োজনে প্রতিবছরই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯৭১ সালে দেবহাটা উপজেলা ছিল ৯ নং সেক্টরের অধীনে। স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন ৯ নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত ক্যাপ্টেন শাহাজান মাষ্টারের নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেবহাটার মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা। পর পর কয়েকটি যুদ্ধে পরাস্থ হওয়ার পর পাক হানাদার বাহিনী সে দিনে দেবহাটা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।