সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
'ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই। ভোটারের ভোটটি তার কাঙ্খিত প্রার্থীর অনকূলে গেছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন বুথের মধ্যেই। আর ভোট শেষে খুব অল্প সময়েই গণনা শেষ হবে। ফলাফল পেতেও কোনো বেগ পেতে হবে না।'
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানের ওপর ধারণা দিতে গিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এসএম মোস্তফা কামাল এই তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, কোন সংশয় সন্দেহ কিংবা অনিশ্চয়তা নেই, ভোটাররা নির্বিঘে ভোট দেবেন। এ জন্য ভোট কেন্দ্রে যেমন কোনো ব্যালট বাক্স লাগবে না তেমনি ব্যলট পেপারও লাগছে না। সাধারণ ভোটারদের এ বিষয়ে অবহিত করতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রাকটিক্যাল প্রচারনা চালানো হবে।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইভিএম বিষয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় ইভিএম মেশিন নিয়ে তার প্রয়োগ ও ভোটদান পদ্ধতি তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাইফুর রহমান শাহাবুদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের নুরজ্জামান শাওন।
সভায় সহকারি রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের কোন জেলা শহর সাতক্ষীরার সদর আসনে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এতে আপনার আমার ভোটের সুরক্ষা হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
দ্রুত সময়ে ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু ইভিএম মেশিনে কোন ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে না, সে জন্য হ্যাকিং হবার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি বিদ্যুত না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ ইভিএম চলবে ব্যাটারির শক্তিতে। ভোটার বাটনে চাপ দিলেই দেখতে পাবেন তার কাংখিত প্রার্থীর নাম ও প্রতীক। এরপরই তিনি নিচের সবুজ বাটনে চাপ দিলে নিশ্চিত হবেন যে তার ভোট যথাস্থানে পড়েছে। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে সকলকে অবহতি করার আহ্বান জানান।