আঙুলের ইনজুরি পুরোপুরি ভাল হয়নি তার সাথে শরীরটাও দুর্বল। এমন সময় যখন পার করছেন টাইগার দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন তখন ঘরের মাঠে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে এলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই ইনজুরির জন্য দুদিন আগে ঘরে মাঠে টেস্ট ও ওয়ানডে কিছুই খেলতে পারেননি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো এক রকম দল নয়। তাই তাদের বিপক্ষে খেলাটা সাকিবের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু নিজের শরীরের সাথে পেরে উঠছিলেন না তিনি। তাই সিন্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবেন না। কিন্তু মজার বিষয় হলো সাকিবের এই সিন্ধান্ত মানতে নারাজ ছিলেন দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
রোডস সাকিবকে বলেছিলেন শরীর অসুস্থ থাকলে খেলা করলে ভালো হয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া টেস্ট জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে নিজের প্রসঙ্গে কথা বলার সময় প্রধান কোচের এই কথা হাসতে হাসতে বলেন সাকিব।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলার নিজের শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাওয়া হলে ক্যাপ্টেন আরো বলেন,'সত্যি কথা বলতে কি প্রথম টেস্টটা আমি খলতে চায়নি। এক মাত্র কোচের কারণেই আমি খেলেছি। তা না হলে আমি কখনোই খেলতাম না। আমাকে যতবার বলেছে, আমি ততোবার না করেছি। আমি পারবো না। কারণ আমার ঐ বিশ্বাসই ছিলো না।আপনারা যদি চট্টগ্রামে আমার বোলিং দেখেন আমি ওই সময় তিন কি চাড় ওভার বোলিং করেছি। কিন্তু কোচ আমাকে বলেছে তুমি ম্যাচ খেললেই ফিট হতে পারবা।'
এরপর একটু হেসে আরো বললেন, 'পৃথিবীতে আমিই মনে হয় একমাত্র খেলোয়াড় যে ম্যাচ খেলার জন্য ম্যাচ খেলেই ফিট হই।কিন্তু একটা জিনিস ভালো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ দলের জন্য যে ছোট ছোট কট্রিবেশন করতে পেরেছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।'
ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে ৮০ রান এবং বল হাতে দুই ইনিংসে ৪ উইকেট। ইনজুরি থেকে ফিরে এমন পারফর্ম সাকিবকে কতটুকু উৎসাহ দিয়েছে? ‘উৎসাহ থেকে বড় কথা হচ্ছে, আমি উইকেট পেয়েছি। মনে হচ্ছে ভালো করছি।'