সিরিয়ার কুর্দিস ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে আইসিস জঙ্গি মোহম্মদ হায়দার জাম্মার। মার্কিন সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করার সময় সে একটি কথাই বলেছিল ‘অত্যন্ত ক্ষুধার্ত আমি, কিছু খাবার দেবেন’।
বিদ্ধস্ত, জীর্ণ চেহারার এমন আইসিস জঙ্গি দেখে প্রথমে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না মার্কিন সেনা জওয়ানরা। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরার করা পর বিস্ফোরক তথ্যটি প্রকাশ্যে আসে। মোহম্মদ জাম্মার আদতে আইসিসের এক দুর্ধর্ষ জঙ্গি। ৯/১১'র জঙ্গি হামলার কারা থাকবে তা বাছাইয়ের দায়িত্ব ছিল তার উপর। এককথায় বিমান ছিনতাইকারীদের নিয়োগ করেছিল সে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেমবর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এক কালো দিন। টুইন টাওয়ার বিমানের বিধ্বসী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৯০০ জনের। জাম্মার তার বয়ানে সেই ঐতিহাসিক জঙ্গি হামলার কাহিনী শুনিয়েছে মার্কিন জওয়ানদের।
৫৭ বছরের এই আইসিস জঙ্গির আছে দ্বৈত নাগরিকত্ব। সিরিয়া এবং জার্মানি দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে তার কাছে। জার্মানির হামবুর্গে অল কুদস মসজিদে ইমামের ভূমিকায় দীর্ঘদিন কাজ করেছে সে। সেখানে থাকাকালীন তার একটি কাজ ছিল মুসলিম যুবকদের জিহাদ নিয়ে উৎসহ দেওয়া।
তার বয়ানেই জানা গেছে, ৯/১১'র বিমান ছিনতাইকারীদের ট্রেনিংয়ের জন্য আফগানিস্থানে পাঠানো হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের উপর বেড়ে চলা নির্যাতনে ঘটনা প্রকাশ্যে এনেই জঙ্গিদের উজ্জীবিত করা হত। মাত্র ১০ বছর বয়সেই তার পরিবার জার্মানিতে চলে গিয়েছিল। সেখানেই বেড়ে ওঠে জাম্মার। ১৯৮২ সাল থেকেই জিহাদে অনুপ্রাণিত হয়ে অস্ত্র তুলেনিয়েছিল সে। আইসিসে যোগ দেওয়ার জন্য জর্ডান হয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছিল।