Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাটকেলঘাটায় আগাম বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত কৃষকরা 

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৭ PM
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


ইলিয়াস হোসেন, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আধুনিকতার এ যুগেও প্রয়োজনের তাগিদেই অনেকেই গরু দিয়ে হাল চাষ করে এই বীজতলার জমি প্রস্তুত করছেন। পাটকেলঘাটার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে বেড়েছে কৃষকদের ব্যস্ততা। আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।

পাটকেলঘাটা বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে হরেক রকম হাইব্রীড জাতের বোরো ধান বীজ বিক্রি হচ্ছে। আর এসব হাইব্রীড ধান বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বাহারি নামের বিভিন্ন কোম্পানির রকমারি হাইব্রীড ধান বীজ বিক্রয় হচ্ছে। যে কারণে দোকানগুলোতে বেড়েছে কৃষকদের বিভিন্ন উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধান বীজ কেনার হিড়িক।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বোরো ধানের প্রায় ২৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্য থেকে বর্তমানে কৃষকরা যে ধানবীজ থেকে ভাল ফলন ও যে বীজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেগুলো গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়।

থানার শাঁকদহ, মিঠাবাড়ী, ধানদিয়া, খলিষখালীসহ অধিকাংশ বিলে মাছ চাষ হওয়ায় আমন ধানের পরিবর্তে বোরো ধানই কৃষকদের একমাত্র ভরসা। বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের পারিবারিক চাউলের চাহিদা মেটানো, অপরদিকে মাছ চাষে লোকসান থাকলে বোরো ধান চাষ করে লোকশানটা পুষিয়ে নেয়া। এ লক্ষ্যে আগাম বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

চাষীরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। কৃষকরা ধারণা করছেন, যদি আগাম বীজতলা প্রস্তুত করা যায় তাহলে জানুয়ারীতেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হবে। ফসল পাওয়া যাবে এপ্রিলে।

এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এ জন্য অধিকাংশ কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

থানার হাজরাপাড়া গ্রামের কৃষক তবিবুর রহমান জানান, এবার তিনি পারিবারিক চাহিদা মিটানোর জন্য তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। ভাল ফসল পাবার আশায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অপরদিকে খলিলুর রহমান ও হামিদুল ইসলাম জানান, তারা পৃথকভাবে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষের করেন। এবারো তারা বোরো ধানের জন্য বীজতলায় বীজ বপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাই কম হলে ভাল ফসল পাবেন বলে আশা করেন।

Bootstrap Image Preview