বারো ঘণ্টার ব্যবধানে উন্মোচিত হলো পটুয়াখালীর গলাচিপার মাদরাসা ছাত্র শিশু জিহাদ (১০) হত্যা রহস্য। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভগ্নিপতি সোহাগ সর্দার হত্যা করেছে শিশু জিহাদকে। স্ত্রীর উপড় প্রতিশোধ নিতেই হত্যা করেছে শিশু জিহাদকে। গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ খালের কচুরিপানার নিচে গুম করার চেষ্টার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামি।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তুনু কুমার মণ্ডলের এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতেও এমন তথ্য জানায় সোহাগ। নির্মম এ হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগকে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আখতার মোর্শেদ জানান, তিন বছর আগে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের জিনতলা গ্রামের জিহাদের চাচা মো. জলিল মোল্লার মেয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের মামুনতক্তি গ্রামের মো. বাবুল সর্দারের ছেলে সোহাগ সর্দারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই সোহাগের সংসারে আর্থিক অনাটন দেখা দিলে স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে মনমালিন্য শুরু হয়। একপর্যায়ে সীমা বাপের বাড়ি চলে গেলে এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সোহাগ এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে সীমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল।
ওসি আরো জানান, এর কয়েকদিন পরেই সোহাগ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে চাচাতো শ্যালক জিহাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার আওয়া সাফিয়া কেরামতিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে ঝাল মুড়ি খাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে গুরিন্দা খালের নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। কিছু সময় অপেক্ষা করে জিহাদকে গলাটিপে হত্যা করে গুরিন্দা খালের জনৈক হাজী শাহজাহানের বাড়ির উত্তর পাশে খালের পূর্ব পাড়ে লাশ কচুরিপানার নিচে চাপা দেয় এবং জিহাদের জামা-কাপড় পাশেই কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।