গোটা বিশ্বের অন্যতম একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আমেরিকান ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্ক। তবে আসল নাম এটি হলেও মানুষ চেনে সিএনএন নামে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বে এই সংবাদমাধ্যমের এমনই প্রভাব যে, মাঝে মাঝে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও তাদের লড়াই চলে সমানে সমানে। বিশ্বজুড়ে অনেক বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণমূলক ও ‘নিরপেক্ষ’ প্রতিবেদন করলেও এবার কথা বলার অভিযোগে বহিস্কার করেছে তাদেরই একজন প্রদায়ককে।
মার্ক ল্যামন্ট হিল নামের বহিস্কৃত ওই প্রদায়ক যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক। তার অপরাধ ইসরায়েলের নির্মম আচরণের প্রেক্ষিতে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও জাতিগত নিধন’ অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।
তার এ বক্তব্যের ঠিক একদিনের মাথায় সিএনএনের এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হিলের সঙ্গে আর কোনো চুক্তি নেই আমাদের।’ তবে সংবাদমাধ্যমটি তাদের দেয়া বিবৃতিতে হিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।
অধ্যাপক মার্ক ল্যামন্ট হিল ছিলেন সিএনএনের রাজনীতি বিষয়ক লেখার একজন প্রদায়ক। বুধবার জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি বলেন, সবার জন্য একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর তার এমন কথার ঠিক একদিন পরেই সংবাদমাধ্যমটি জানালো, এমন মন্তব্য করায় হিলের কোনো লেখা আর প্রকাশ করবে না তারা।
তবে সিএনএনের এমন ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মার্ক ল্যামন্ট হিল বলেন, তার মন্তব্য কোনোভাবেই ইহুদি বিদ্বেষী নয়। তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের এই সংহাত থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল ও পশ্চিমতীর উভয়ই যেন ন্যায্য বিচার পায়।