Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অঞ্চল ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:০৬ PM
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:০৬ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আগে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পদ্মার ইলিশ যেত কলকাতা এবং গোটা পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালের জুলাই থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে এখানকার লোকজনকে গঙ্গার ইলিশের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। তবে গঙ্গার ইলিশও একশ্রেণির মৎস্যজীবীরা বড় হতে দিচ্ছে না। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়মিত এসব ছোট ইলিশ বা ‘খোকা ইলিশ’ ধরছে।

এবার রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ রক্ষার জন্য ইলিশের ‘অভয়ারণ্য’ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সমুদ্র থেকে এই তিনটি এলাকায় ইলিশ এসে ডিম পাড়ে। তিনটি এলাকাকে রাজ্য সরকার ‘ইলিশের অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করে এখানের ইলিশ রক্ষা এবং ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বিশেষ নজর চালাবে এই চিহ্নিত অভয়ারণ্যের দিকে, যাতে করে মৎস্যজীবীরা ইলিশ বড় না হওয়া পর্যন্ত জালে আটকাতে না পারে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিবছর ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সমুদ্র ও এর সন্নিহিত অঞ্চলের ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়া ইলিশ রক্ষা করতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করে। তা সত্ত্বেও দেখা যায়, মৎস্যজীবীরা সেই নির্দেশ অমান্য করে ‘খোকা ইলিশ’ ধরছে।

মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন গঙ্গা নদীতে পলি জমার ফলে মোহনায় ডিম পাড়তে আসা অনেক ইলিশ সাগরে ফিরে যেতে পারে না। তাদের ঠিকানা হয়ে যায় এই গঙ্গা। এই সব আবাসিক ইলিশকে সাধারণত দেখা যায় গঙ্গার মোহনা থেকে অন্তত ৩৫০ কিলোমিটার উত্তরে ফারাক্কার কাছে। তাই মৎস্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব ‘আবাসিক’ ইলিশের ২০ শতাংশকেও বাঁচিয়ে রাখা গেলে এবং পরবর্তী সময়ে এরা প্রজননে সক্ষম হলে এই রাজ্যে আর ইলিশের অভাব হবে না।

Bootstrap Image Preview