Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি.
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০১ PM
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:০১ PM

bdmorning Image Preview


গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অত্যন্ত পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। দুর্বল ভবনের ছাদের মাঝে মাঝে খোঁয়াসহ প্লাস্টার খসে মরিচা পড়া রড বেড়িয়ে পড়েছে। চারপাশে দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ধরেছে ছোটবড় অসংখ্য ফাটল। ছাদ চুয়ে পানি পড়ে দরজা জানালার কাঠ পঁচে ভেঙ্গে যাওয়াসহ রডগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হয়েছে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। ফলে যে কোনো মুহুর্তে ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা যায়, উপজেলার ৬ নং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয়।  ততকালীন দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে অল্প সময়ে ভবনটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে দিন দিন বৃষ্টির পানি ভবনের ছাদ চুয়ে ঢালইয়ের ভিতরে ঢোকার কারণে রডে মরিচা ধরাসহ প্লাস্টার দুর্বল হয়ে খসে পড়া শুরু হয়।

এছাড়াও চার পাশের দেয়ালের প্লাস্টার দুর্বল হওয়ায় দেখা দেয় ফাটল। দরজা জানালার রড মরিচা ধরে নষ্ট হয়েছে কাঠের পাল্লা চৌকাটগুলো পঁচে ভেঙ্গে গেছে। পরিষদে কাঠের তৈরী বিচারিক এজলাসও অনেক আগেই ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাথরুম ও টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে গেছে, মেঝের প্লাস্টার উঠে মাটি বেড়িয়ে পড়েছে। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের ই-সেন্টারের উদ্যেক্তা রোস্তম জানান, তথ্য কেন্দ্রের কক্ষটিতে কম্পিইটারসহ অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি রয়েছে সেখানে ছাদের প্লাস্টার খসে ও পানি পড়ে কখনো কখনো ছাদের প্লাস্টার খসে মাথায় ও কম্পিউটার মনিটরের উপর পড়ে। এতে যে কোনো সময় মূল্যবান জিনিসসহ ও ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গ্রামপুলিশ সুখনাল জানান, রাতে এ ভবনের মধ্যে থাকা জিনিস পত্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য থেকে ছাদেও প্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে থাকতে হয়। 

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকল লোকজন চরম আতংকের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু জায়গার অভাবে কেউ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত করে আধুনিক ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করাসহ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়াও চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল কুমার ঘোষের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জমি পাওয়া গেলে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদের আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview