জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ যমুনা সার কারখানায় মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) আনুমানিক ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটের দিকে এ্যামোনিয়া প্লান্টের সিনথেসিস সেকশনের স্ট্রাট-আপ হিটার টিউব ফেটে অগ্নি ঘটনাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফলে স্ট্রাট-আপ হিটার টিউব ফেটে বিকট শব্দ ও গ্যাসে অগ্নি শিখা প্রজ্জলিত হয়ে উপর দিকে উঠায় কারখানার শ্রমিক/কর্মচারীসহ কারখানার এলাকায় বসবাসকারীরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পরে। অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানার নিজস্ব ফায়ার এ্যান্ড সেফটির ফায়ারম্যানগণ আধ ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি, দায়দায়িত্ব ও কারণ নিরুপন করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেএফসিএল কর্তৃপক্ষ। দু'টি তদন্ত কমিটিতে কারখানার এমটিএস বিভাগের জি এম শেখ আব্দুল্লাহকে প্রধান করা হয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্বহীনতায় ঘটেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
জানতে চাইলে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবা সুলতানা জানান, সার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানার নিজস্ব ফায়ারম্যানগণ আধা ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি, দায়দায়িত্ব ও কারণ নিরুপন করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দু'টি তদন্ত কমিটিতে কারখানার এমটিএস বিভাগের জি এম শেখ আব্দুল্লাহকে প্রধান করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার উৎপাদন কবে নাগাদ শুরু বলা যাচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, যমুনা সার কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করার জন্য গত ১০ নভেম্বর বিকেল ৫ টায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে সার উৎপাদনের জন্য ষ্টার্ট-আপ করার চেষ্টা করলে মঙ্গলবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।