হয়তো এটাই হওয়ার বাকি ছিলো।যা হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে।ভারোত্তলন ফেডারেশনের অফিস সহকারী সোহাগ আলী ভবনের ভেতরেই ধর্ষণ করেছেন এক নারী ভরোত্তলোলককে। ঘটনার পর থেকে সেই নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জঘন্য এই কাজ করার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে রেখেছিলেন লম্পট সোহাগ।ছলে বলে কৌশলে সেই ভরোত্তলোলককে ভুলানোর চেষ্টা করছিলেন।কিন্তু কোন ভাবেই সে সুযোগ খুঁজে পাচ্ছিলেন না।এরপর চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ভরোত্তলোলককে নারীকে বস আনেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর খেলা ছিল। যার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর অনুশীলন ছিল। এসময় চাকরির লোভ দেখিয়ে আলোচনার জন্য ওই তরুণীকে পুরোনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চারতলায় ডেকে আনে সোহাগ আলী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে একটি রুমে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দেওয়া হয়। সেই তরুণীকে রুমে নিয়ে আসতে কর্মচারী মালেক ও আরেকজন নারী ভারোত্তোলক সহায়তা করেছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
সেই ঘটনার পর যেন বোবা হয়ে গিয়েছেন ভরোত্তলোলক । লজ্জায় পরিবারের কাউকে কিছু বলতে পারেনি।এক সময় কোন উপায় না পেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভারসম্যাহীন হয়ে পড়েন।এরপর তাকে ২৩ অক্টোবর গ্রাম থেকে ঢাকায় এনে মানসিক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে।