মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র উ জও তায় দাবি করে বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বিদেশি এনজিওগুলো ব্যবসা করছে।
মিয়ানমার সরকারের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিদেশি এনজিওগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই নিরাপত্তার ধোয়া তুলে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবর্তনে বাধা সৃষ্টি করে আসছে।
রাখাইনে ফিরলে শরণার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। খবর মিয়ানমার টাইমসের।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
রাখাইন রাজ্যের সিটুই শহরে রোববার শত শত উগ্রবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে-কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে আসতে দেয়া না হয়।
বিক্ষুব্ধ এক বৌদ্ধ ভিক্ষু বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফিরে আসার মধ্যে মিয়ানমারের কোনো স্বার্থ নেই। মিয়ানমারের উগ্র ওই বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের সে দেশের নাগরিক বলে স্বীকার করে না।
এদিকে গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা সমাবেশ করে বলেছে, তারা নাগরিকত্ব না পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাবে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের চুক্তি অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ নাগাদ কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ২ হাজার ২৬০ রোহিঙ্গা মুসলমানের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও শরণার্থীদের নিরাপত্তার অভাবে বাংলাদেশ সরকার দিন দশেক আগেই ওই পরিকল্পনা স্থগিত করেছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সে দেশের উগ্র বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর পাশবিক হামলা চালায়। তাদের ওই হামলায় অন্তত ৬ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হন এবং আহত হন ৮ হাজারেরও বেশি। নতুন করে আরও ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাস্তুভিটা হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়।