আপনার সামান্য অসাবধানতার জন্য ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া তেমনি একটি ভয়াবহ ব্যাপার। প্রতিদিন বিদ্যুতের নানা কাজে অংশ নিতেই হয় আমাদের। তাই সাবধানতা না নিলে এসব সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশংকা থেকেই যায়।
বিদ্যুৎপ্রবাহ আছে এমন কোনও খোলা তার বা বোর্ডের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনেকেই। বিদ্যুতের প্রাবল্যের ওপর মানুষের বেঁচে থাকাও নির্ভর করে। খুব কম সময়ে শরীরে অনেকটা বিদ্যুৎ চলে গেলে সেই মানুষের তৎক্ষণাৎ মৃত্যুও অসম্ভব নয়।
আসুন জেনে নেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে জরুরি করণীয়।
গায়ে হাত দেবেন না-
কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কোনোভাবেই তার গায়ে হাত দেবেন না। এছাড়া গায়ে পানিও দেবেন না, বরং ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিন। ধাক্কা দেওয়ার সময় শুকনো উলের পোশাক, কাঠের টুকরো, খবরের কাগজ অথবা রাবার জাতীয় তড়িৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করে সরান। তাতে বিদ্যুতের উৎস থেকে সেই ব্যক্তির ছিটকে যাওয়া সম্ভব হবে।
মেন সুইচ-
দ্রুত মেন সুইচ বন্ধ করতে বলুন কাউকে। অনেক সময় এই মেন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে যে সময় নষ্ট হয়, তাতেই প্রাণ চলে যায় বিদ্যুস্পৃষ্ট ব্যক্তির। তাই সামনে থাকলে তাকে বিদ্যুতের উৎস থেকে সরানোর চেষ্টা করুন।এছাড়া একান্ত সেই উপায় না থাকলে বা হাতের কাছে তড়িৎ অপরিবাহী কিছু না মিললে দ্রুত মেন সুইচ বন্ধের দায়িত্ব নিন।
বুকের জোরে চাপ দেয়া-
বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পেলেও অনেক সময় ব্যক্তির শ্বাসপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তেমন হলে বুকের উপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করুন।এছাড়া রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
গরম দুধ-
বিদ্যুতের উৎস থেকে সরাতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে গরম দুধ ও গরম পানি খাওয়ান আক্রান্ত ব্যক্তিকে। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
সাবধানতা-
বিদ্যুতের কাজ করার সময় মেন সুইচ বন্ধ করে নিন আগেই। পায়ে রাবারের জুতো দিয়ে বিদ্যুতের কাজ সারুন, খালি পায়ে এমন কাজে না হাত দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া কোনও ভাবেই পানি হাতে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দেবেন না।