Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশির অভিবাসন বাতিলে ভুল স্বীকার যুক্তরাজ্যের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৪ AM
আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৪ AM

bdmorning Image Preview


বেশ কয়েকজন দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবীসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু নাগরিকের অভিবাসন অনুমতি বাতিলের ক্ষেত্রে ভুল স্বীকার করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী ক্যারোলিন নোকস পার্লামেন্টে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার ৩১টি আবেদনের ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার তাকিদ দিয়েছেন তিনি।

ওই আবেদনকারীদের বেশিরভাগ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আসা। আবেদনে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতির একটি বিতর্কিত ধারায় তাদের বসবাস ও কাজের অনুমতি বাতিলের ক্ষেত্রে তাদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় ৩১ জনের ভিসা আবেদন পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। আয়ের বিষয়ে ভুল তথ্য দেয়ায় মূলত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা এসব আবেদন বাতিল করা হয়। ৩১টি বাতিল আবেদনের মধ্যে ১২টির ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়ে তাদের বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ১৯টি আবেদন পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে আরও তথ্য দরকার।

পার্লামেন্টের বিবৃতিতে অভিবাসনমন্ত্রী ক্যারোলিন নোকস বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে এই ৩১ জনের সঙ্গেই যোগাযোগ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ধরনের ভুল খুবই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর এই ভুল যে প্রভাব ফেলেছে, তা কমাতে পারব না। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ঘটনা থেকে নেয়া শিক্ষা কাজে লাগানো হবে।

জানা যায়, যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী কমপক্ষে পাঁচ বছর দেশটিতে থাকার পর এসব আবেদনকারী স্থায়ী বসবাস বা বসবাসের অনির্দিষ্টকালীন অনুমতির (আইএলআর) জন্য আবেদন করেছিলেন। এ ধরনের অনেক আবেদন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল হওয়ার বিষয়টি নজরে আনেন দেশটির কয়েকজন আইনজীবী। ব্রিটিশ অভিবাসন আইনের ৩২২(৫) ধারা ব্যবহার করে এসব আবেদন বাতিল করা হয়।

বিবেচনামূলক এই ধারায় দণ্ডিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের যুক্তরাজ্যে বসবাসের আবেদন বাতিলের কথা বলা হয়েছে। এসব পেশাজীবীর আবেদন বাতিল করতে কর বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া আয় বিষয়ক তথ্যে অসঙ্গতি থাকায় তাদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের ‘চূড়ান্ত জালিয়াত’ আখ্যাও দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার তাদের বিষয়ে ‘পর্যালোচনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের বিষয়ে নোকস বলেন, বেশির ভাগ আবেদন সঠিকভাবে বিবেচনা করা হলেও অল্প সংখ্যকের বিষয়ে ভুল হয়ে গেছে।

Bootstrap Image Preview