Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক যুগ অপেক্ষার পর ড. কামালের ছায়ায় এসেছি: সাবেক যুবলীগ নেতা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪২ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দলীয় বহিষ্কারাদেশ নিয়ে দীর্ঘ এক যুগের বেশি রাজনীতির বাইরে থেকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে গণফোরামে যোগ দিয়েছেন সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম। সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নও নিয়েছেন তিনি।

নজরুল ইসলাম ১৯৮০ সালে সিলেট এমসি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তখন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামীম। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম।

২০০৪ সালে সিলেট জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হন তিনি। এর আগে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন নজরুল।

২০০৪ সালে আহ্বায়ক থাকাকালীন জেলা যুবলীগের সম্মেলনে মারামারি হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘ভুল বোঝাবুঝিতে’ দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় নেতা সামাদ আজাদ বলয়ের একজন সক্রিয় কর্মী।

২০০৫ সালে আব্দুস সামাদ আজাদ মারা যাওয়ার পর শূন্য হওয়া আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে উপ-নির্বাচনে ফুটবল প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়ে ২২ হাজার ভোট পান নজরুল ইসলাম। একদিকে বহিষ্কার অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ দল থেকে তাকে দূরে সরিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন,২০০৪ সালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সিলেট যুবলীগের সম্মেলন হয়েছিল। সেখানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া আবুল মাল আবদুল মুহিত। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে শেখ সেলিম উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলনের সময় বাইরে যুবলীগের প্রার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে মারামারি এবং গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে যুবলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়। এক যুগ পরও আমার বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অবশেষে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে গণফোরাম থেকে আমি মনোনয়ন নিয়েছি। আমি ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করতে চাই।

'দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষা শেষে ড. কামাল হোসেনের ছায়ায় এসেছি' যোগ করেন তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে নজরুল ইসলাম আরও বলেন, গণফোরাম থেকে আমি মনোনয়ন নিয়েছি। এখন এ ব্যাপারে দলীয় এবং ঐক্যফ্রন্টের আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে মনোনয়ন না পেলেও আক্ষেপের কিছু নেই।

Bootstrap Image Preview