Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

'দেশের প্রত্যেকটি ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে চাই'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩২ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩২ PM

bdmorning Image Preview


'এবার জনগণ ভোট দিলে ফের ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ, না হলে নয়। আমরা দেশের প্রত্যেকটি ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দিতে চাই এবং এই দেশের আর কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না, অনাহারে কষ্ট পাবে না।'

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে আবারো তাদের সেবায় ফিরে আসবো। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই, এ দেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ। যতই অন্ধকার হোক-তা পেছনে পেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

জনগণের কাছে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কতটুকু উন্নয়ন করেছি তা আপনারা অবশ্যই দেখছেন। আগে বাংলাদেশ ছিলো প্রাকৃতিক দুযোগের দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর আমরা উন্নত দেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি।

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকার গত ১০ বছরে দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

এ সময় বিখ্যাত কবি রবার্ট ফ্রস্টের একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃতি করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দ্য উডস আর লাভলি, ডার্ক অ্যান্ড ডিপ, বাট আই হ্যাভ প্রমিজেস টু কিপ অ্যান্ড মাইলস টু গো, বিফোর আই স্লিপ...অ্যান্ড মাইলস টু গো…। বাংলাদেশকে আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। অনেক বিপত্তি পেরিয়ে আমরা উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলাম, ইনশাল্লাহ আর কেউ এই যাত্রা থামাতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন নানা উদ্যোগ নিই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান-সংস্থাকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে কাজ করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, সশস্র বাহিনী স্বাধীনতার প্রতীক; যে বাহিনী গড়ে ওঠেছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চলাকালীন সময়ে। একদিকে যেমন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে তেমনি সকল বাহিনী একত্রিত করে এই সশস্র বাহিনী একুশে নভেম্বর গড়ে তোলা হয় সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য। যে যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview