Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইংরেজিতে ১ মার্কস পেয়েই ইবির ভর্তির মেধাতালিকায়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১৫ PM
আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১৫ PM

bdmorning Image Preview


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের মধ্যে ১ পেয়েই মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে একাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়াও ০.২৫, ১.৫, ২ এবং ৩ পেয়েও অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হলে এসব অসঙ্গতি দেখা যায়।

৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ হাজার ২০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করে। ১৮ হাজার  ৮১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার এই ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত করে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অসঙ্গতি দেখা যায়।

দ্বিতীয় শিফটে ০৯২৭০ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ১ পেয়েও মেধাতালিকায় ২৫৮তম হয়েছে। এছাড়াও প্রথম শিফটে ০২৬১৯ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ১.২৫ পেয়ে মেধাতালিকায় ২৬৭ তম, একই শিফটের ২০৬২৩ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থী ২ পেয়ে মেধাতালিকায় ২৮১তম হয়েছে। এভাবে বাংলা, সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে নূন্যতম নম্বর পেয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর মেধাতালিকায় স্থান হয়েছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীরা এই ফলাফলের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করছেন।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা এমন ইবিয়ান চাই না। যারা ইংরেজিতে ১ পেয়েই মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী। এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতায় ‘সি’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছিল।

প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে উক্ত ইউনিট সম্বনয়কারী অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, যারা লিখিত পরীক্ষায় বেশি পেয়েছে তাদেরকে মেধাক্রমের প্রথম দিকে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে আগের থাকা বহুনির্বাচনী পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়। এতে ২০ নম্বরের লিখিত এবং ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশ রাখা হয়। ওই ৬০ নম্বরের মধ্যে ইংরেজিতে ২৫, বাংলায় ২৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর রাখা হয়। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ( ২০+২০) ৪০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়।

Bootstrap Image Preview