ইসলাম গ্রহণকারী ভারতীয় সেই নারীকে মধ্যযুগীও কায়দায় তীর মেরে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খুন হওয়া ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘোটনার পর তাকে দ্রুত হাসতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি তবে সিজার করে গর্ভের শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, নিহত ওই নারী হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ইমতিয়াজ মুহাম্মদ নামে এক মুসলিমকে। দেবী গাড্ডু নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম পাল্টে সানা মুহাম্মদ রাখা হয়েছিল। ২ ও ৫ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের।
সোমবার সকালে বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সানা। বাড়িতে ছিলেন ইমতিয়াজও। সামনের লনে স্বামী ইমতিয়াজ প্রথম হামলাকরীকে দেখেন। সানার দিকে তির-ধনুক তাক করেছিল সে। এ সময় ইমতিয়াজ স্ত্রীকে সতর্কও শেষ রক্ষা হয়নি। তীর আটকে যায় হৃৎপিন্ডে। হাসপাতালে তার অস্ত্রপচার করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তবে গর্ভে থাকা শিশুকে বাঁচানো গেছে। সদ্যজাত পুত্রসন্তানের নাম ইব্রাহিম রেখেছেন ইমতিয়াজ।
নিহতের স্বামী ইমতিয়াজ জানান, ‘সানার মতো ভালো মানুষ হয় না। মা ও সন্তান হিসাবে যথেষ্ট দায়িত্বশীল ছিল। গত সাত বছর ধরে একসঙ্গে ছিলাম আমরা। কখনও আলাদা হইনি। বাকি জীবনটা কীভাবে কাটাব জানি না। সন্তান প্রসবে মাত্র চার সপ্তাহ বাকি ছিল। তার আগেই এই হামলা। তলপেট ফুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে আটকে যায় তীরটি। তবে আমার সন্তানকে তীরটি ছুঁতে পারেনি। তাও কোনো রকম রিস্ক নিতে চাননি চিকিৎসকরা। বুকে তীর গাঁথা অবস্থাতেই স্ত্রীর পেট থেকে ছেলেকে বের করে আনেন।’
এদিকে হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ। মঙ্গলবার বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়। সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, ঘাত সে নিহত সানার পূর্ব পরিচিত ছিল। খবরে জানানো হয়, হামলাকারী রমণোদ্গে উন্মাথালেগাড্ডু (৫০) নিহতের আগের স্বামী ছিল।