মীর খায়রুল আলম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
বহু প্রত্যাশিত শালতা নদী খননে অবশেষে দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে তালা প্রেসক্লাব, পানি কমিটি, শালতা বাঁচাও কমিটি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ এর সহযোগিতায় শালতা নদী পুনর্জীবনের লক্ষ্যে নদী অববাহিকার ভুক্তভোগী মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিভিন্ন সময় ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে।
গতকাল সোমবার নদীটি খননে সর্বশেষ ১৫ কোটি টাকার দরপত্র সম্পন হয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরকারি ম্যাপে এই নদীর প্রস্থ কোথাও ৪৫০ ফুট,কোথাও ৫০০ ফুট আবার কোথাও ৪০০ ফুট দেখানো হয়েছে। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নদীর ১৬,১৭/১ নং পোল্ডারের একাংশ বুড়িভদ্রার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং অপর অংশ শিবসা নদীতে গিয়ে মিশেছে। মাঝের প্রায় ১৩ কিঃমিঃ একেবারেই মরে গেছে।
জানা যায়, জনমানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শালতা নদীর প্রায় ১৩ কিঃমিঃ খননে সোমবার ( ১২ নভেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা অঞ্চলের তত্বাবধায়নে ১৫ কোটি টাকার দরপত্র সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পে নদীর ডুমুরিয়া উপজেলার গ্লাবদহ থেকে শুরু করে পাইকগাছা উপজেলার তালতলা পর্যন্ত খনন হবে।
এ ব্যাপারে তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের পর বহুল অকাঙ্খিত ও জনগুরুত্বপূর্ণ নদী খননের টেন্ডার সম্পন্ন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শালতা খননের ফলে তালা, ডুমুরিয়া ও পাইকগাছা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লু রহমান জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ নদী খননে টেন্ডার হওয়ায় বঞ্চিত জনপদেও সাধারণ মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করল। তবে নদীটি খননে তিনি পুরনো ম্যাপ অনুযায়ী করার দাবি জানান। অন্যথায় নদী খননকে কেন্দ্র করে জনপদে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে।