গাজীপুরের কালীগঞ্জে ডাকাতের হামলায় রমজান আলী (৫০) নামের এক হোটেল ব্যবসায়ি আহত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিমত এভাবে পৌর এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটার ফলে গ্রামবাসী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
আহত রমজান পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ হা-মীম গ্রুপ ইন্ডাস্টিয়াল পার্কের (সাবেক মসলিন কটন মিলস) উত্তর পার্শ্বে ১নং গেইট এলাকায় হোটেল ব্যবসা করেন।
আহত রমজান আলী জানান, সোমবার দিবাগত রাত দুইটায় দিকে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা বাহির থেকে আমার বাবা, ছোট ভাই জাকির ও মোক্তার, প্রতিবেশী নয়নের ঘরের দরজা আটকে দেয়। পরে তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৪ জনের মুখোশ পড়া একটি গ্রুপ ভিতরে প্রবেশ করে।
এ সময় ঘরে ছিল রমজানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার, ছেলে হাসান (১৪) ও দুই মাসের মেয়ে। এক ডাকাত ঘরে থাকা তার স্ত্রীকে গলা চেপে ধরে। বাকীরা রমজানের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে। সুযোগ বুঝে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ছেলে হাসান। ততক্ষনে রমজানের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জেগে যায় এবং পাশের মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষনা করতে করতে ডাকাতরা তাকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাহমিদা তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররণের পরামর্শ প্রদান করেন। সেখান থেকে তাকে ঢামেকে পাঠানো হয়।
ভাদার্ত্তী গ্রামের আশরাফুজ্জামান বলেন, গত ১৫ দিনের মধ্যে ওই গ্রামেরই খ্রীস্টান অধ্যসিত এলাকায় সন্তোষ ও লিখনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এভাবে পৌর এলাকার মধ্যে একটার পর ডাকাতির ঘটনা ঘটার ফলে গ্রামবাসী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। তবে গত রাতের ঘটনার পর খবর পেয়ে থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবুবকর মিয়া বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ওই গ্রামে খ্রীস্টান অধ্যসিত এলাকায় ডাকাতি এবং সোমবার দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনা তার কোনটিই জানা নেই। কারণ এ ব্যাপারে থানায় কউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।