Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

শুভ জন্মদিন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০০ AM
আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১০:১১ AM

bdmorning Image Preview


আজ মঙ্গলবার নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন। ১৯৪৮ সালে হুমায়ূন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক তিনি। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পর পরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়।

হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে আজ দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টিভিতেও প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। গতকাল রাত ১২টা এক মিনিটে হুমায়ূন আহমেদের বাসা দখিন হাওয়ায় কেক কেটে তাঁর ৭০তম জন্মদিন উদযাপন করেন পরিবারের সদস্যরা।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল রাতেই কবর আর নুহাশ পল্লীতে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। আজ সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নূহাশপল্লীতে কবর জিয়ারত করবেন।

এদিকে এই কথাসাহিত্যিকের জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে  সপ্তাহব্যাপী হুমায়ূন আহমেদ বইমেলা শুরু হবে। এ ছাড়াও হুমায়ূনকে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর।

এ উপলক্ষে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সপ্তমবারের মতো হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ‘হুমায়ূন মেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  আজ সকাল ১১টায় হিমুপ্রেমিরা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে হলুদ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন অঙ্গনে তার ভক্ত ও বিশিষ্টজনরা। তার স্মরণে স্মৃতিকথা বলবেন অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা। এর পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশন করবে চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে ও অন্য নৃত্যশিল্পীরা। মেলার স্টলগুলোতে থাকবে হুমায়ূন আহমেদের বই, তার নির্মিত চলচ্চিত্র ও নাটকের ভিডিও সিডি। মেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল আই ও রেডিও ভুমি।

নব্বই দশকের মাঝামাঝি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, গৌরিপুর জংশন, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, দারুচীনি দ্বীপ, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, জোছনা ও জননীর গল্প প্রভৃতি। পাশপাশি তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- আগুনের পরশমনি, শ্যামল ছায়া, শ্রাবন মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা ও নয় নম্বর বিপদ সংকেত। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ও জয় করেছে দর্শক ও সমালোচকদের মন।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন হুমায়ন আহমেদ। এ ছাড়াও তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ূন কাদিও স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন। দেশের বাইরেও তাকে নিয়ে ১৫ মিনিটের তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’।

ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Bootstrap Image Preview