Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনের আগে সরে গেলেন রাজাপাকসে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৫ PM
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার নেতৃত্বাধীন ‘শ্রীলংকা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএফপি) দল থেকে সরে দাঁড়ালেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে এসএলএফপির সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্কচ্ছেদ করে শ্রীলঙ্কা পিপলস পার্টিতে (এসএলপিপি) যোগ দিলেন রাজপাকসে।

গতকাল রবিবার সকালে রাজাপাকসে এসএলপিপি’তে যোগদানের ঘোষণা দেন। নিজের নতুন দলের ব্যানারেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ইঙ্গিতও দেন তিনি। তার সঙ্গে ৪৪ জন সাবেক এমপি’ও সিরিসেনার দল ছেড়ে এ দলে যোগ দেন।

এসএলপিপি দলটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রাজাপাকসের ছোট ভাই বসিল। দলটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার দল এসএলএফপি’র সাবেক ৮২ এমপি’র মধ্যে শেষ পর্যন্ত ৬৫ জন পক্ষ ত্যাগ করে এসএলপিপিতে যোগ দিতে পারেন।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর রাজাপাকসের রাজনীতিতে ফেরার মঞ্চ তৈরি করতে তার সমর্থকরা নতুন করে এসএলপিপি গড়ে তোলে। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় কাউন্সিলর নির্বাচনে দলটি মোট ৩৪০টি আসনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়লাভ করেছে।

শ্রীলঙ্কার গত ২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ ও তার মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন। সেইসঙ্গে পার্লামেন্ট স্থগিত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন।

পার্লামেন্ট তার পক্ষে আছে দাবি করে, প্রধানমন্ত্রীর পদ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিক্রমসিংহ। অন্যদিকে পার্লামেন্টে রাজাপাকসের নতুন সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ১১৩টি আসন প্রয়োজন।

রাজাপাকসে ২০০৫ সাল থেকে টানা এক দশক দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ক্ষমতায় থাকাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে দেশটির সংখ্যালঘু তামিল জনগোষ্ঠির উপর নিপীড়নের অভিযোগে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাব সমালোচিত হয়েছিলেন। যে কারণে ২০১৫ সালে নিজের ডেপুটি সিরিসেনার কাছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান তিনি।

ওই নির্বাচনে বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) সিরিসেনাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লির সঙ্গে ইউএনপি’র ঘনিষ্ঠতা এবং সিরিসেনাকে হত্যায় ‘ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ’ নিয়ে দুই দলের ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়ে। তারপরই রাজাপাকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা।

Bootstrap Image Preview