রংপুর কারাগার থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ঢাকায় এনে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আবদুর রহিম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রংপুর কারা কর্তৃপক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টিভির একটি অনুষ্ঠানে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২২ অক্টোবর রংপুরে মামলা করেন নারী অধিকারকর্মী মিলিমায়া বেগম।
এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মইনুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গ্রেফতার হন।
পরে তাকে আদালতে নিয়ে জামিন আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর দুটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা।