Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

সরকারি জমি দখল করে নির্মিত হচ্ছে পাকা ভবন

হেমন্ত বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৪ PM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০২:১৪ PM

bdmorning Image Preview


গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বাইপাস জলিরপাড় তালবাড়ি এলাকায় সরকারি জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে। দিনের পর দিন এভাবে ওই এলাকায় সরকারের বিভিন্ন জমি বে'দখল হলেও দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তালবাড়ি এলাকার রমা বাড়ৈ নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়ক ও এমবিআর ক্যানেলের মধ্যবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশাল জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী দাউদ মোড়ল ২ লাখ টাকার বিনিময়ে রমা বাড়ৈর কাছ থেকে ওই জমির একাংশ দখল করে নেন এবং স্থানীয় তহশীলদারের সঙ্গে যোগসাজসে পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

এ ব্যাপারে দাউদ মোড়লকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে প্রথমে তিনি বলেন, রমা বাড়ৈ তার নিজের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজ কিভাবে করছেন - এমন প্রশ্নের উত্তরে পরে তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হলে বছরে ভাড়া বাবদ ১ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনিই ব্যবসায়িক কাজে ওই ঘর ভাড়া নিবেন। এজন্য কোনরকম লিখিত চুক্তি ছাড়াই তিনি রমা বাড়ৈকে ২ লাখ টাকাও অগ্রীম প্রদান করেছেন। 

দাউদ মোড়ল আরও বলেন, এমবিআর ক্যানেল-সংলগ্ন সরকারি জমি অবৈধ দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ ও বসবাস এটা নতুন কিছু নয়। যে যেভাবে পেড়েছে দখল করে নিয়েছে। তিনি নিজেও সিন্দিয়াঘাট এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করেছেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক তার ওই বাড়ি ভাঙ্গার জন্য বোল্ডার নিয়োগ করেছিল কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।

ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে তিনি তার ওই বাড়ি এখনও রক্ষা করে রেখেছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিলেই সব ম্যানেজ হয়ে যায় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

বিষয়টি নিয়ে রমা বাড়ৈর সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে পারেননি। সাংবাদিকদের দেখেই বাড়ির পিছন দিয়ে রমা বাড়ৈ পালিয়ে যান। 

স্থানীয় তহশীলদার শিকদার নজরুল ইসলামের সঙ্গে বহুবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। 

তবে এ ব্যাপারে মুকসুদপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ আক্তার হোসেন শাহীন বলেছেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি জেনেছেন এবং দাউদ মোড়লকে ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দু'দিনের মধ্যে সবকিছু তুলে নেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি সে তা না করে, তবে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হবে।  


 

Bootstrap Image Preview