Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে রফতানি আয়ের সঙ্গে বেড়েছে প্রবৃদ্ধি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৪ AM
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৫ AM

bdmorning Image Preview


চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২১৩ কোটি মার্কিন ডলার। তার বিপরীতে আয় হয়েছে এক হাজার ৩৬৫ কোটি ডলার। লক্ষমাত্রার চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময় রফতানি আয় ছিল এক হাজার ১৫০ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। 

এদিকে একক মাস হিসেবে শুধু অক্টোবর মাসেই রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এ সময় এই এক মাসে রফতানির লক্ষমাত্রা ছিল প্রায় ২৭৯ কোটি ডলার। আয় হয়েছে প্রায় ৩৭১ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে আয় বেশি পাওয়া গেছে ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া গত বছরের এ সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

মঙ্গলবার রফতানি আয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ সময়ে নিটওয়্যার খাতে রফতানি আয় হয়েছে ৫৮৭ কোটি ডলার। আর ওভেন খাতে রফতানি আয় এসেছে ৫৪৫ কোটি ডলার। পোশাকের দুই খাতে এসেছে এক হাজার ১৩৩ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৬ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, চার মাসে পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর বাইরে কৃষিজাত পণ্য খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ কোটি ডলার, যার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ডলার। সেক্ষেত্রে চার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেশি হয়েছে ৬৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৮০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। হিমায়িত খাদ্য ও মাছ খাতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। আয় বেশি হয়েছে ২৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য খাতে চার মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২৮ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের দশ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৫২ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে আয় কম হয়েছে এক দশমিক ২৩ শতাংশ। আর গত বছরের দশ মাসের চেয়ে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

ইপিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববাজারে রফতানি পরিস্থিতি, ভোক্তার চাহিদা এবং রফতানিকারকদের সরবরাহ সক্ষমতা সব সময় এক তালে চলে না। ফলে বিভিন্ন খাতে রফতানি আয়ে বিভিন্ন সময় কমবেশি বিচ্যুতি ঘটতে পারে। কিন্তু আমাদের রফতানি খাতে আশার খবর হচ্ছে দু-একটি খাত ছাড়া বাকি সব রফতানি খাতে আয় বেশি হচ্ছে এবং পণ্যে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধিই সামনে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

অপরদিকে রফতানিকারকরা বলছেন, রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। কোনো কোনো খাতে এখনো আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। এটিই এখন আশঙ্কার বড় কারণ। মনে রাখা দরকার, সামনে ২০২১ সাল নাগাদ সার্বিক রফতানি খাত থেকে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এককভাবে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন তা অর্জন করতে হলে প্রতি মাসেই রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি থাকতে হবে ১১-১২ শতাংশ হারে।

Bootstrap Image Preview