Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কারবালায় মা-বাবার পাশে চিরঘুমে তরিকুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:১৫ PM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০৮:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় চিরবিদায় নিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।

সোমবার বাদ আসর যশোরের ঈদগাহ ময়দানে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন। জানাযা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে থাকে দাফন করা হয়।

জানাযার আগে তরিকুল ইসলামের কফিন বিএনপির দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

জানাযা নামাজের আগে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলামের বড় ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত, ছোট ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

সুমিত বলেন, ‘আমার বাবা মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো ভুল বা কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন, আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আপনাদের কাছে আমি হাতজোড় করে বাবার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার বাবার কাছে কারও কোনো পাওনা থাকলে, জানালে আমরা শোধ করে দেব। আপনার আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় তিনি আগামী বুধবার বাদ আসর যশোরের নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিলে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।

ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমার বাবা আপনাদের সমর্থনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চারবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আপনাদের কল্যাণে কাজ করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করেছেন আমৃত্যু। আমিও যেন বাবার মতো আপনাদের পাশে থাকতে পারি, সে দোয়া করবেন।’

তিনি বলেন, ‘বাবা যদি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কারণে কারও কোনো কষ্ট দিয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমার বাবা কখনো মানুষে মানুষে বিভেদ করেননি। সর্বস্তরের মানুষ বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্পিকারের উপস্থিতিতে জানাযা হয়েছে। সেখানে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান অনিন্দ্য।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই আমার বাবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।’

জানাযা শেষে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং যশোর জেলার বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তরিকুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

রবিবার বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তরিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

তরিকুল ইসলাম যশোর সদর থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আসার আগে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। যশোর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন তরিকুল ইসলাম।

Bootstrap Image Preview