Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এভারেস্টে ২৫ টন আবর্জনা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৭ PM
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০১:২৯ PM

bdmorning Image Preview


এভারেস্ট ঘুরে চলে যাওয়ার সময় ভীতিকর ছোট রানওয়েতে পা ফেলার আগে পর্যটকদের তাঁদের পরিত্যাজ্য জিনিসপত্র ফেলে দিতে হয়।  তাই ‘স্মৃতিটুকু নিয়ে যান, পায়ের চিহ্নটুকু থাকা’—নেপালের সাগরমাতা জাতীয় পার্কে পাহাড়ের চূড়ায় এ কথাটার দ্বিতীয় অংশটুকু মেনে চলা সত্যিই খুব কঠিন। লাখো পর্যটক শুধু পদচিহ্নের বাইরে আরও অনেক কিছু ফেলে যান। তাঁরা পদচিহ্নের বাইরে আরও যা ফেলে যান, তা রীতিমতো পরিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তাঁরা সেখানে সম্মিলিতভাবে পর্বতসমান মানববর্জ্য পরিত্যাগ করছেন।

এবারের ইকোনমিস্ট সাময়িকীর সবশেষ সংখ্যায় উঠে এসেছে এ তথ্য। ‘আবর্জনার পাহাড়’ শিরোনামে এক নিবন্ধে বলা হয়, এভারেস্টে পর্বতারোহীদের সৃষ্ট মানববর্জ্যের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর নেপালের পর্বতারোহীরা প্রায় ২৫ টন আবর্জনা ও ১৫ টন মানববর্জ্য সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ান।

ইকোনমিস্টে বলা হয়েছে, গত বছর এভারেস্ট সম্মেলনে অংশ নেন ৬৪৮ জন। দুই দশক আগের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ। বেস ক্যাম্পেও অনেকে সম্মেলন করে থাকেন। সম্প্রতি এই মানববর্জ্য পাহাড় থেকে এক ঘণ্টার হাঁটাপথের দূরত্বে গোরাকশেপ শহরের কাছে খালে ফেলা হয়। এই মানববর্জ্যের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ১২ বছর ধরে বেস ক্যাম্প থেকে বর্জ্য খালে ফেলার কাজ করছেন বুধি বাহাদুর সারখি। তিনি জানান, বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। যখন তিনি কাজ শুরু করতেন, তখন মানববর্জ্য ফেলার কাজে নিয়োজিত ছিলেন সাতজন। এখন সে সংখ্যা বেড়ে ৩০ জন হয়েছে।

কয়েকটি আবিষ্কার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। দুজন পর্বতারোহী এভারেস্টে বায়োগ্যাস প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁরা আশা করছেন, আগামী বছর গোরাকশেপে বায়োগ্যাস চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারবেন। বেস ক্যাম্পের সব মানববর্জ্য তখন সার ও মিথেন গ্যাসে রূপান্তর করা সম্ভব হবে, যা রান্নার কাজে লাগানো যেতে পারে। আর তা করা গেলে পাহাড়ে হয়তো বাদামি রঙের পরিবর্তে সবুজ রঙের আধিক্য বাড়বে।

Bootstrap Image Preview